পরিবারকে একটু সুখ দিতে চেয়েছিলেন, নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলেন ইমরান… সৌদি আরবে ডেলিভারির পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো কোম্পানীগঞ্জের ২৩ বছরের এক তরুণ প্রবাসীর।
তাঁর বয়স মাত্র ২৩।
স্বপ্ন ছিল ছোট্ট – পরিবারকে একটু ভালো রাখা, মা-বাবা-বোনের মুখে হাসি ফোটানো।
পেছনে ফেলে গিয়েছিলেন এক বুক স্বপ্ন, বুক ভরা আশা, আর দায়িত্বের পাহাড়।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সন্তান ইমরান।
বাবা নুর নবী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন – সামান্য আয়ে চলতো না সংসার।
তাই সংসারের হাল ধরতে, ছোট দুই বোনের মুখে ভবিষ্যতের আলো আনতে
গত বছর পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে।
ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে কাজ করতেন – দিনের পর দিন রোদের মধ্যে,
কখনো ঘুমহীন রাত, কখনো না খেয়েই ছুটে গেছেন
গ্রাহকের দরজায় খাবার পৌঁছে দিতে।
কিন্তু কে জানত...
একদিন সেই খাবার দিতে যাওয়ার পথই হয়ে উঠবে তাঁর জীবনের শেষ গন্তব্য!
গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ইমরান।
একটি পরিবারের সব স্বপ্ন যেন মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।
এভাবে প্রতিদিন কত ইমরান হারিয়ে যাচ্ছেন…
কেউ খবর রাখে না।
শুধু একেকটা মা চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেন তার ছেলেটাকে।
বোনেরা হারায় জীবনের সবচেয়ে বড় ভরসাটাকে।
আর একটা পরিবার ফিরে পায় না তাদের সেই প্রিয় মুখ, যে শুধু চাইতো–
পরিবারটা একটু ভালো থাকুক…
সালাম জানাই সকল প্রবাসীদের– যারা নিজেদের জীবনকে ভুলে, পরিবারকে রক্ষা করতে প্রতিদিন যুদ্ধ করেন একা একা, হাজার মাইল দূরে।
আল্লাহ তা'য়ালা ভাইটিকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন এবং তার পরিবারকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।
#প্রবাসি #পুরুষ

