AFace1 AFace1
    #face #bangladesh #aface1 #news #aface
    Napredno pretraživanje
  • Prijaviti se
  • Registar

  • Noćni način
  • © 2025 AFace1
    Oko • Imenik • Kontaktirajte nas • Politika privatnosti • Uvjeti korištenja • Povrat novca • Points and Payments • DMCA

    Odaberi Jezik

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Gledati

Gledati Koluti

Događaji

Pregledajte događaje Moji događaji

Blog

Pregledajte članke

Tržište

Najnoviji proizvodi

Stranice

Moje stranice Stranice koje mi se sviđaju

Više

Istražiti popularne objave Igre Poslovi Ponude Sredstva
Koluti Gledati Događaji Tržište Blog Moje stranice Vidi sve
MdRobiulhasanshorob23
User Image
Povucite za promjenu položaja poklopca
MdRobiulhasanshorob23

MdRobiulhasanshorob23

@MdRobiulhasanshorob23
  • Vremenska Crta
  • grupe
  • sviđanja
  • Praćenje 1
  • Sljedbenici 8
  • Fotografije
  • Video zapisi
  • Koluti
  • Proizvodi
1 Praćenje
8 Sljedbenici
100 postovi
Muški
25 godine
Živjeti u Bangladesh
image
MdRobiulhasanshorob23
MdRobiulhasanshorob23  
2 d

গরম সিঙ্গাড়ায় কা'ম'ড় দিয়ে পাত্রের মা বললো,
“তো আপনাদের মাত্র এই দুটোই ঘর?
জামাই এসে থাকবে কোই?”
আমার বাবা বললো,“মানে ওপরে বানানোর ইচ্ছে আছে...!!”
পাত্রের মা বললো,“আমাদের আবার বিশাল বাড়ি। চারতলা। অনেক ঘর...!!”
আমি দেখলাম বাবাকে। খুশি হলো না দুঃখ পেলো বুঝা গেলো না। তবে মুখে হাসি ভাবটা রাখার চেষ্টা করছে।
পাত্রের মা এবার খাস্তা কচুরি খাচ্ছে।
বললো,“তো আপনাদের বাথরুম ওই একটাই? ইন্ডিয়ান?”
বাবা বললো,“হুম, ইয়ে মানে ছাদে একটা বানিয়েছিলাম। কমপ্লিট করা হয়নি।”
পাত্রের মা কচুরিটা শেষ করে বললো,“আমার ছেলের কিন্তু ক*মো*ড লাগে।”
বাবা বললো,“ও আচ্ছা... সে বানিয়ে নেবো।”
এবার প্রশ্ন এলো আমার দিকে,
তা তুমি রুটি বেলতে পারো?
বললাম, হ্যাঁ।
ভদ্রমহিলা রসগোল্লা মুখে পুরে বললো,
বাহ্, তা তুমি তো এম.এ পাশ। চাকরি করবে না?
বললাম, হুম ইচ্ছে তো আছে।
পাত্রের মা বললো, আমার ছেলের লাখ টাকা মাইনে। তোমার চাকরি করার দরকার নেই।
আমার মা বললো, হ্যাঁ কিন্তু পড়াশোনায় ও কিন্তু ভালোই... একটু চেষ্টা...
পাত্রের বাবা চিকেন প্যাটিস চি'বো'তে চি'বো'তে শোনালো, আমাদের বাড়ির বৌয়েরা চাকরি করে না। তা তুমি গান জানো তো?
বললাম, না।
বাবা বললো, ও ভালো নাচতে পারে। কতো পুরস্কার...ওই যে দেখুন...
পাত্রের মা চিকেন স্প্রিং রোলটা শেষ করে বললো,
বাড়ির বৌ ধেই ধেই করে নাচানাচি করবে, সে চলবে না। বরং তুমি একটা গান গাও...
আমি মা-বাবার মুখের দিকে তাকালাম। মা বললো,
ওই যে "পুরানো সেই দিনের কথা"টা গেয়ে শোনা।
গাইলাম।
পাত্রের মা সীতাভোগটা এক চামচ মুখে নিয়ে বললো, মেয়ে আমাদের পছন্দ। তা বিয়েতে আপনারা কী কী দিতে পারবেন?
বাবা হাত কচলাতে কচলাতে বললো, ওই...
আমি বললাম, যদি কিছু মনে না করেন বলছি যে, আপনার ছেলে কী নিয়ে পড়েছে?
উত্তর এলো, ইঞ্জিনিয়ারিং।
বললাম, ওহ। গান জানে না?
না।
আর নাচ?
পাত্রের বাবা, না।
রুটি বেলতেও জানে না নিশ্চয়ই। তাহলে ওই চারতলা বাড়িতে শুধু ক*মো*ডে*র ব্যবহার ছাড়া আর কিছুই জানে না? তাহলে প্রতি রবিবার ছেলেকে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিন। ঐদিন আমি নাচ শেখাই। ফ্রীতে ধেই ধেই করা শিখিয়ে দেবো। এর বেশী আমরা আর কিছু দিতে পারবো না। সরি।
বাবা বললো, আচ্ছা, এবার আসুন।
ওরা দুজন গজরাতে গজরাতে বিদায় নিলো।
বোন বললো, বললেই যখন একটু আগে বলবে তো! খাবারগুলো বেঁচে যেতো তাহলে। # #

Kao
Komentar
Udio
MdRobiulhasanshorob23
MdRobiulhasanshorob23  
2 d

এক কৃষকের ছিল একটি গাধা ও একটি গরু। কৃষক বোঝা আনা-নেওয়া ও চলাচলের বাহন হিসেবে গাধাকে ব্যবহার করতো আর গরু দিয়ে হালচাষ করতো। গম ও ধান মাড়াইয়ের কাজেও গরুকে ব্যবহার করা হতো।
একদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একনাগাড়ে কাজ করে গরু যখন ঘরে ফিরলো তখন অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ক্লান্ত হয়ে একা একাই বিড়বিড় করে কী যেন বলছিল। গরুকে বিড়বিড় করতে দেখে গাধা বললো :
গাধা : আরে বাবা, হয়েছে কী? বিড়বিড় করে কি বলছো?
গরু : তোরা গাধার দল আমাদের দুঃখ-কষ্টের কি বুঝবি ? আমাদের দুঃখ-কষ্ট কেউ বুঝেনারে, কেউ বুঝে না।
গাধা : বুঝবো না কেন, অবশ্যই বুঝবো। তাছাড়া তুই যেমন বোঝা টানিস আমরাও তেমনি বোঝা টানি। আমাদের মধ্যে তফাৎটা কোথায় দেখলি!
গরু : তফাৎ অবশ্যই আছে। গাধাকে বোঝা টানা ছাড়া আর কোনো কাছে ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু জমি চাষ করা, ফসল মাড়াই করা, কলুর ঘানি টানা এসব কষ্টের কাজ আমাদের করতে হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর ব্যথা-বেদনায় সারারাত চোখে ঘুম আসে না। তোদের কি এত কষ্ট করতে হয়?
গরুর কষ্টের কথা শুনে গাধার মনটা খারাপ হয়ে গেল। গরুকে কষ্ট থেকে রেহাই দেয়ার জন্য সে একটা বুদ্ধি বের করলো। এরপর গরুকে উদ্দেশ্য করে বললো :
গাধা : তুই যদি চাস তাহলে আমি এমন একটা বুদ্ধি দিতে পারি যাতে তোকে আর মাঠে যেতে হবে না।
গরু : গাধার মাথায় আবার বুদ্ধি আছে নাকি ? না না তোর বুদ্ধি অনুযায়ী চলতে গেলে আমার বিপদ আরো বাড়বে।
গাধা :শোন্ ! মানুষ আমাদেরকে যত গাধা মনে করে আমরা কিন্তু আসলে তত গাধা নই। আর এ জন্যইতো আমাদেরকে হালচাষ ও ঘানি টানার কাছে কেউ লাগাতে পারে না। তুই একবার আমার কথা অনুযায়ী কাজ কর,তাহলে দেখবি তুইও আমার মতো সুখে আছিস।
গরু : ঠিকাছে বল দেখি, তোর বুদ্ধিটা কি ?
এরপর গাধা গরুকে অসুস্থ হবার ভান করতে পরামর্শ দিলো। গরু নিজেকে বাঁচানোর জন্য গাধার পরামর্শ অনুযায়ী হাত-পা সোজা করে ঘরে শুয়ে রইল এবং হাম্বা হাম্বা রবে ‘উহ্‌ আহ্‌’ করতে লাগলো। কৃষক এসে উঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো। তখন বাধ্য হয়ে গোয়াল থেকে বের এলো এবং অন্য কোন উপায় বের করার জন্য চিন্তা করতে লাগলো।
কৃষক চলে যাওয়ার পর গরু গাধাকে ধন্যবাদ দিল। ধন্যবাদ পেয়ে গাধাও খুশীতে নেচে উঠলো। কিন্তু গাধার খুশী বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কিছুক্ষণ পরই কৃষক গোয়াল ঘরে ফিরে এলো এবং গরুর বদলে গাধাকেই মাঠে নিয়ে গেল। গাধার কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল বেঁধে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা জমি চাষ করার পর কৃষক কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেয়ার জন্য একটি গাছের ছায়ায় বসলো। এ সময় গাধা মনে মনে ভাবতে লাগলো :গাধা : গরুকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেই বিপদে পড়ে গেলাম! সত্যি সত্যিই আমি একটা গাধা। তা না হলে এমন বোকামী কেউ করে?
এসব ভাবার পর নিজেকে বাঁচানোর জন্য গাধা চিন্তা করতে লাগলো। হঠাৎ সে গরুকে দেয়া বুদ্ধিটিই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল। সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী গাধা জমিতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো এবং কান ফাটা চিৎকার দিয়ে আকাশ-বাতাস ভারী করে তুললো। চিৎকার শুনে কৃষক গাধার কাছে এলো। এরপর তাকে মাটি থেকে উঠানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুতেই উঠাতে পারলো না। এরপর কৃষক তার লাঠি দিয়ে গাধাকে বেদম পেটাতে শুরু করলো। পেটাতে পেটাতে কৃষক বললো :
কৃষক : মুর্খ কোথাকার! দেখতেই পাচ্ছিস, গরুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপরও সব জেনে শুনে তুই কুড়েমি শুরু করেছিস!তোর দুধ কোন কাজে আসে না, গোশতেও কোন ফায়দা নেই। তারপরও ভেবেছিস তোকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো? আজ যদি কাজ না করিস তাহলে তোকে মেরেই ফেলব।
গাধা দেখল অবস্থা বিপজ্জনক। তাই সোজা হয়ে দাঁড়ালো। প্রথম দিকে বিরক্তির সাথে এবং ধীরে ধীরে মনোযোগ দিয়ে কাজে লেগে গেল। কাজ করার সময় গাধা বিড়বিড় করে বলতে লাগলো- যেভাবেই হোক আজ রাতে গরুকে কৌশলে পটাতে হবে যাতে কাল সকালে মাঠে যায়।
যাই হোক, সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে বাড়ীতে ফিরল গাধা। বাড়ী ফিরেই সোজা গিয়ে ঢুকলো গোয়াল ঘরে। গাধাকে দেখেই গরু নড়েচড়ে বসল। এরপর বললো:
গরু: মাঠ থেকে এলি নাকি? এবার নিশ্চয়ই দেখেছিস, কি কঠিন কাজইনা আমাদের করতে হয়!
গাধা : না না, মোটেই কঠিন নয়। আমার তো মনে হয়, খুবই আরামদায়ক এবং সোজা কাজ এটি। কিন্তু অন্য একটি বিষয়ে আমার মনটা ভীষণ খারাপ। তোকে বললে তুইও কষ্ট পাবি।
গরু : হাল চাষের চেয়েও কষ্টের কিছু আছে নাকি? ঠিকাছে খুলেই বল, কষ্ট পাবো না।
গাধা : ব্যাপারটা তেমন কিছু না। আজ দুপুরে যখন মাঠে কাজ করছিলাম, তখন মালিক তার এক বন্ধুকে বলছিল, আমার গরুটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে । মনে হয় বাঁচবে না। তাই ঠিক করলাম, কাল যদি ভাল না হয় তাহলে জবাই করে ফেলবো।
এ কথা শুনে গরু ভয়ে কাঁপতে লাগলো। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল :
গরু : তুই সত্যি বলছিস তো! যদি তাই হয় তাহলে কাল থেকেই কাজে লেগে পরতে হবে। মরার চেয়ে কাজ করে খাওয়া অনেক ভাল। তোর মত গাধার বুদ্ধিতে চলতে গিয়েই তো আমার সামনে বিপদ এসে হাজির হয়েছে। আর কোনদিন আমি তোর কথা শুনবো না।
গাধা: তোরে বুদ্ধি দিয়ে তো আমিও কম শাস্তি পেলাম না। আমি তোর উপকার করতে গেলাম আর তুই কিনা আমাকে দোষ দিচ্ছিস! গরুর দল বড়ই অকৃতজ্ঞ।
এভাবে কথা কাটাকাটির মধ্যদিয়ে রাত পোহালো। পরদিন সকালে কৃষক এসে গরুকে ধাক্কা দিতেই সে লাফিয়ে উঠলো। তখন গরু আর গাধাকে নিয়ে সে মাঠের দিকে রওনা হলো। যাওয়ার সময় কৃষক তার ছেলেকে ডেকে বললো :
কৃষক : তুই আরেকটি লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে আয়। গাধাকেও আজ থেকে গরুর পিছু পিছু হাল চাষে কাজে লাগাবি! আর শোন, আরেকটা মোটা লাঠিও নিয়ে আসিস। গাধা আবার ছংবং করতে পারে। # # #

Kao
Komentar
Udio
MdRobiulhasanshorob23
MdRobiulhasanshorob23  
2 d

আমার জামাই অসম্ভব কিপ্টা ! মানে কিপ্টার চূড়ান্ত ।। আজ বান্ধবীর বিয়ে ছিল । আমি আগে চলে এসছি তাই ওকে ফোন করে বললাম যে একটা গিফট কিনে নিয়ে আসতে । সে রীতিমত গিফট নিয়ে উপিস্থিত কিন্তু কি গিফট এনেছে সেটা এত বার করে দেখতে চাইলাম তবুও কিছুতেই আমাকে দেখালো না ।
শেষমেষ যখন সবার গিফট খুলে দেখা হলো তখন আমার জামাইয়ের গিফট দেখে আমি বড়সর একটা ধাক্কা খেলাম । পাথরের একটা শো পিস !! বড়জোড় তিন থেকে চারশো টাকা হবে । সবাই মুখ ঘুরিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে । সবার সামনে আমার মানসম্মান এর বারোটা বাজিয়ে দিলো । লজ্জায় আমি তাৎক্ষণিক সেখান থেকে চলে আসলাম ।
ছোটবেলা থেকেই ভীষণ বিলাসি আমি । বাবা তাই সরকারী চাকরীওয়ালা ছেলে দেখে আমার বিয়ে ঠিক করলেন যেন বিয়ের পর সে যেন আমার সমস্ত চাহিদা এবং বিলাসিতা পূরণ করতে পারে । কিন্তু বিয়ের পরই বুঝতে পারলাম যে আমার জামাই খুব উচ্চ মানের কিপ্টা । বিয়ের পরের দিন নতুন বউকে নাকি মাছ কেটে মাছের মাথা রান্না করতে হয় । আমার জামাই বড় মাছের পরিবর্তে দুই কেজি গুড়া মাছ নিয়ে আসে । আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে গুড়া মাছ কেন , সে জবাব দিলো যে গুড়া মাছ খেলে বুদ্ধি বাড়ে । আমাকে বুদ্ধিজীবী হতে হবে তাই সে গুরামাছ এনেছে । চোখের জল আর নাকের জল এক করে সেদিন সারারাত আমি গুরামাছ কেটেছি ।
অনেক হয়েছে আর না । এর একটা হেস্তনেস্ত করতেই হবে ! ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে বাপের বাড়ি রওনা হলাম । জামাই আমাকে আটকানোর খুব চেষ্টা করলো কিন্তু আমি বলে দিয়েছি যেদিন কিপ্টামো ছাড়তে পারবে ওইদিন আমাকে নিতে এসো তার আগে না । এবার হাড়ে হাড়ে টের পাবে কত ধানে কত চাল !
প্রায় পনের দিন কোনো খোঁজ না পেয়ে অগত্যা আমিই ফোন দিলাম । ফোনের ওপাশ থেকে জামাই বলে উঠলো , " হ্যালো জান আমিতো তোমারই ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম "
রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে ! বেশি করে শ্বাস নিয়ে বকা শুরু করলাম , " কুত্তা , বিলাই , শয়তান , হনুমান , বান্দর আমাকে নিতে আসলি না কেন হু ? আমি নাই বলে সুযোগ হইছে তাই না ? দাড়া আমি এক্ষুনি আসছি !!
জান আমার কথাটা শুনো একবার , আমি ভেবেছি তুমি এত টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে গেলে এই কয়দিন থাকলে কি পোষায় বলো ? সত্যি বলছি আর পনের দিন হলেই আমিই তোমাকে নিতে আসতাম !
আমি কপাল চাপরাচ্ছি আর ভাবছি এই ছিল আমার ভাগ্যে ? রাগে গজগজ করতে করতে বাবাকে বলে দিলাম আমি আর ওর সংসার করবো না । কিন্তু দুইদিন পরই দেখি জামাই আমার এসে হাজির । মুহূর্তের মধ্যেই যেন সমস্ত রাগ সব উধাও হয়ে গেলো !! ও আমায় কানে কানে বললো যে বাসায় নাকি আমার জন্য বড় একটা সারপ্রাইজ আছে । আমি খুশিতে গদগদ হয়ে সবকিছু ভুলে ওর সাথে রওনা হয়ে বাসায় চলে এলাম ।
বাসায় এসে ওর সারপ্রাইজ দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম । আমার মুখ দিয়ে একটা শব্দও বের হচ্ছে না । শুধু কানের সামনে ঠাস ঠাস বাজ পড়ার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি । বাড়ির উঠোনে গোটা বিশেক মুরগির বাচ্চা খামারের ভেতর চিউ চিউ করছে । আমি ওকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ওর বলা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম ! " সেদিন খবরের কাগজে পড়েছি হাঁস_মুরগির খামার করে এক লোক আর তার স্ত্রী রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেছে । তাই তোমার জন্য আমি বুদ্ধি করে এই সারপ্রাইজটা রেখেছি । এগুলোর ভালো করে যত্ন নিও , দেখবে বিশটা মুরগির বাচ্চা থেকে একদিন আমাদের দুইশ মুরগির খামার হবে । আর সেদিন তোমার জন্য আরেকটা সারপ্রাইজ থাকবে !! আবার সারপ্রাইজের কথা শুনে আমার প্রেসার হাই হয়ে গেল । কিছু না বলে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম । আমি খুব ভালো করে বুঝে গেছি যে ও আর কোনোদিন সুধরাবে না কিন্তু শেষ একটা চেষ্টা করে দেখি । শুয়ে শুয়ে ভাবছি ওকে কিভাবে শিক্ষা দেওয়া যায় । মাথায় একটা অসম্ভব ভালো বুদ্ধি এসেছে । আমি এই ঘরে এভাবেই শুয়ে থাকবো । ঘরে রান্না বান্না কিছু করবো না । আর ও যে লেভেলের কিপ্টা না খেয়ে মরে গেলেও হোটেলে গিয়ে টাকা খরচ করে কিছু খাবে না আমি জানি । না খেয়ে খেয়ে যখন শিক্ষা পেয়ে যাবে তখন ওর জবানবন্দি নিবো যে ভবিষ্যতে এরকম কিপ্টামো যেন আমার সাথে না করে ।
যেই ভাবা সেই কাজ ! আজ সাত দিন যাবৎ রান্না করিনা । ঘরে চিড়া মুড়ি যা ছিল সেগুলো দিয়ে কয়দিন পার করেছি । এখন বিছানার সাথে লেপ্টে শুয়ে আছি । ডাক্তার আমার শরীরে স্যালাইন ঢুকাচ্ছে । না খেয়ে খেয়ে আমার মরার অবস্থা হয়েছে । ওকে ভালোই সুস্থ লাগছে , আমার হাত ধরে বসে আছে । আমি করুন দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছি । আমার দিকে মায়া মায়া চাহনী দিয়ে ও বললো ,
" আমার তো না খেয়ে অভ্যেস আছে । তুমি কেন না খেয়ে থাকতে গেলে ? এখন গেলে তো অসুস্থ হয়ে ! ডাক্তার বললো তোমার শরীর নাকি খুব দুর্বল ! তাই তোমার জন্য কয়েক হালি হাঁসের বাচ্চা অর্ডার করেছি । জানো হাঁসের ডিমে প্রচুর ভিটামিন । হাঁস গুলো বড় হয়ে ডিম দিবে আর তুমি প্রতিদিন একটা করে ডিম খাবে । ওর কথা শুনে আমার চোখে জল এসে গেল । আমি হু হু করে কেঁদে উঠলাম ! ডাক্তার সাহেব আমাকে স্যালাইন দেয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই । এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আর কোনো ইচ্ছে নেই আমার ! # # #

Kao
Komentar
Udio
MdRobiulhasanshorob23
MdRobiulhasanshorob23  
4 d

"বাসেই যখন হঠাৎ বিয়ে"!!
সত্যি অসাধারণ খবর..শুনে এত ভাল লাগছে😍
সন্ধ্যা ৬টায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে কিছু যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে রওনা দেয়।
দমদমিয়া-সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে অনেক যাত্রী উঠে।
হ্নীলা,হোয়াইকং,উখিয়া এর পর লিঙ্ক রোড,চকরিয়া,চট্টগ্রাম থেকে অনেক যাত্রী উঠানামা করে।
রাত ১টা।
চট্টগ্রাম শহর ছাড়িয়ে হু হু করে বাস এগিয়ে চলেছে ঢাকার দিকে।
সদ্য বানানো মসৃণ রাস্তা। বেশির ভাগ যাত্রী সিটে বসে ঢুলছে। সামনের সিটে এক বৃদ্ধ তাঁর মেয়েকে নিয়ে বসেছেন। অভিজাত জামাকাপড় পরে আছেন তাঁরা।
হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে অন্য সব যাত্রীর দিকে মুখ করে বলতে শুরু করলেন তিনি —
‘প্রিয় যাত্রী মহোদয়, আমার পোশাক-আশাক দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আমি ভিখারি নই। প্রভু আমাকে অনেক দিয়েছেন, কিন্তু কেড়ে নিয়েছেন আমার স্ত্রী সাবিহাকে। বিধির বিধান কে খণ্ডাতে পেরেছে, বলুন?
কিছুদিন আগে আমার ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে সব ছারখার হয়ে যায়। এর কিছু দিনের মধ্যে আমার এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টের ব্যবসাও লাটে ওঠে। হঠাৎ করে এতটা ক্ষতি আমি সইতে পারিনি। তাই হয়তো কিছুদিন পরই আমার হার্ট অ্যাটাক করে। যেসব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব আগে আমার কাছে এসে বসে থাকত, তারা আমার এই দুর্দিনে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। আমি দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ি। শরীরও খারাপ হতে থাকে। একসময় ডাক্তার জানায়, আমার জীবনে খুব বেশি দিন অবশিষ্ট নেই। যেকোনো সময় ডাক এসে যেতে পারে। আমার এই যুবতী মেয়ে মিথিলা। দেখতেই পাচ্ছেন আপনারা। সে বেশ সুন্দরী। আমার অবর্তমানে এই মেয়ে নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে একলা থাকলে তার কী যে দুর্দশা হবে, সে কথা ভেবেই আমি শিউরে উঠি!’ এই কথা কয়েকটি বলতে বলতেই বৃদ্ধের হেঁচকি ওঠা শুরু হয়। মেয়ে মিথিলা বাবাকে ধরে আবার সিটে বসিয়ে দেয়।
এমন সময় বাসের পেছনের সিটে বসা এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে পড়েন এবং বাসে বসে থাকা লোকদের সম্বোধন করে বলা শুরু করেন -
ভদ্র মহোদয়গণ, আমি পেশায় ব্যবসায়ী। আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে ডাক্তার, বিবাহিত। এই আমার ছোট ছেলে। দুই বছর হলো ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করছে। আমি এর বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছি। প্রভুর অশেষ দয়া, আমি এই বাসে এক সুন্দরী সুশীলা পাত্রীর দেখা পেলাম। আমি ওই বৃদ্ধকে অনুরোধ করছি, তিনি যদি আমার ছোট ছেলেকে উপযুক্ত মনে করেন, তবে আমি তাঁর মেয়েকে নিজের পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি আছি। আপনাদের সবার সামনে শপথ করছি, ওনার মেয়ে আমার বাড়িতে আমার পুত্রবধূ নয়, মেয়ে হয়েই থাকবে।’এ পর্যায়ে সুপুরুষ ছোট ছেলে নিজের সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, ‘মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে। আমি বিয়েতে রাজি।’
এক অনাবিল মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে সবার ঘুম গেছে ছুটে! বাসের অন্য যাত্রীরা হাততালি দিয়ে এই সম্বন্ধকে স্বীকৃতি জানাল। এরই মধ্যে
নাটকীয়ভাবে এক লোক দাঁড়িয়ে বললেন -আপনাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন! বাসেই যদি এই বিয়ের কার্যক্রম হয়ে যায়, তাহলে এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। আমি পেশায় কাজি। বিয়ে পড়াই। আমি এই বিয়েটা পড়াতে পারলে মনে করব জীবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিয়ে পড়াতে পারলাম।’
যাত্রীরা একসঙ্গে বলে উঠল, দারুণ! মারহাবা...সেই উত্সাহপূর্ণ হট্টগোলের মাঝে কাজি সাহেব বিয়ের কাজ শুরু করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সব আচার-অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেল।
এ পর্যায়ে এক মধ্যবয়স্ক যাত্রী তাঁর সিটে দাঁড়িয়ে বললেন -‘অনেক দিন পর আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছি। নাতি-নাতনিরা মিষ্টি পছন্দ করে। তাদের জন্য পাঁচ কেজি রসগোল্লা নিয়েছি। কিন্তু এই আনন্দের মুহূর্তে এই মিষ্টির সদ্ব্যবহার এই বাসেই হোক। পাত্রী তো আমার কন্যাসম।’
বক্তব্য শেষ করে ভদ্রলোক কন্যার বাবার দিকে চেয়ে তাঁর অনুমতির অপেক্ষা করতে লাগলেন। মেয়ের বাবা ড্রাইভারের উদ্দেশে বলেন, ‘ড্রাইভার সাহেব, পাঁচ মিনিটের জন্য গাড়ি থামান দয়া করে। সবাই আগে মুখ মিষ্টি করুন। তারপর আমরা আবার যাত্রা শুরু করব ঢাকার দিকে।’
ঠিক আছে স্যার’ বলে ড্রাইভার বাস থামিয়ে দিলেন।
আনন্দে উদ্বেলিত মেয়ের বাবার নির্দেশে সেই মধ্যবয়সী ভদ্রলোক একে একে বাসযাত্রীদের মুখে রসগোল্লা পুরে দিলেন। ড্রাইভার আর কন্ডাক্টর যখন চোখ মেলে তাকাল, তখন ভোর ৫টা।
নববিবাহিত বর-বউ, দুই পিতা, কাজি আর মিষ্টি বিতরক বাদে বাসে সবাই আছে।
তবে হ্যাঁ, কারোরই মানিব্যাগ, হাতঘড়ি, গলার সোনার চেইন, হাতের ব্যাগ আর নেই। # # #

Kao
Komentar
Udio
avatar

Zahangir Alom

 
আকাশের হাতে আছে এক রাশ নিল, বাতাসের আছে কিছু গন্ধ, রাতের গায়ে জলে জোনাকি প্রকৃতির বুকে মৃদু ছন্দ। আমার এ দু'হাত শুধু রিক্ত, আমার এ দু-চোখ জলে শিক্ত। বলি বলি করে তবুও বলা হয় না, আমার হৃদয় হলো বন্ধ। আকাশের হাতে আছে এক রাশ নীল। জানি না কেমন করে বলবো, খেয়ালি কতই ভেশে চলবো।
Kao
· Odgovor · 1750139338

Izbriši komentar

Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?

MdRobiulhasanshorob23
MdRobiulhasanshorob23  
4 d

অফিসের দিনগুলোতে সকালে আমি আগে স্নানে যাই, তারপর যান "উনি" মানে আমার কর্তা আজ হঠাৎ বাথরুমের দরজা দিয়ে উঁকি মেরে জিজ্ঞেস করলেন,
তুমি কোনওদিন সাবান মাখো না?"
আমি অবাক হয়ে -- 'মানে?'
উনি -- না, কোনোদিন সাবানটা ভিজা থাকে না, তাই...
আমি -- ঐ সাবানটা মাখি না! ওই গোলাপী মতো বোতল'টা আছে, ওইটা মাখি!
উনি আশ্চর্যান্বিত গলায় -- "ওটা শ্যাম্পু নয়?"
আমি -- 'না, ওটা বডিওয়াশ! তুমি কি শ্যাম্পু ভেবে মেখেছো?'
উনি কিঞ্চিৎ চিন্তিত হয়ে -- "ঠিক খেয়াল পড়ছে না, সাদা বোতল'টা শ্যাম্পু! আর লাল'টা?"
আমি -- 'ওটা কণ্ডিশনার!'
কৌতুহলী উনি -"আর সবুজ, জেলি জেলি মতো, ওটা??"
আমি উত্তরে বলি -- 'ওটা ফেসওয়াশ!'
উনি আরও বেশি কৌতুহলী -- "তাহলে দানা দানা, খসখসে মতোটা, ওটা কি??"
আমি বিরক্ত হয়ে -- 'ওটা ফেস স্ক্রাবার।'
আমার উনি জবাব দেন -- "স্ক্রাবার তো টিউবের মতো'টায় লেখা!!"
আমি হতাশ হয়ে -- 'ওটা বডি স্ক্রাবার!'
উনি কৈফিয়ত তলব করার ভঙ্গিতে -- "আর চ্যাপ্টা মত কৌটোটায়??"
আমি -- 'ওটা হেয়ার প্যাক!'
এবার উনি -- "আর নীল গোলাপী ছোট টিউব??"
আমি রাগত স্বরে -- 'ওটা হেয়ার রিমুভার ক্রিম!'
স্বামী জেরা করার সুরে -- "তাহলে এইটা (বাথরুমের দরজা দিয়ে হাত বাইরে বের করে)??"
আমি হাঁপিয়ে ওঠা গলায় -- 'হেয়ার সিরাম!'
অবাক উনি -- "কি রাম??"
আমি চেঁচিয়ে -- 'রাম নয় রে বাবা.....সেরাম, সেরআআআআম!!'
এবার উনি ঠাণ্ডা গলায় প্রশ্ন করেন -- "আর অয়েল-ইন-ক্রিম লেখা'টা কোথায় মাখো?"
এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙা আমি চিৎকার করে উঠি --
'আমার যেখানে খুশি মাখি, রান্না করি ঐ তেল দিয়ে, হয়েছে? লাগবে তোমার?? গাড়িতে ঢালবে?? অ্যাঁ??
সক্কাল সক্কাল বাথরুমটা লণ্ডভণ্ড করছে লোকটা....আমি এবার পাগল হয়ে যাবো.....!!'
এবারে আমার উনি আস্বস্ত করার ভঙ্গিতে -- "আচ্ছা, আচ্ছা, বাদ দাও, আমারও মাথা গুলিয়ে গেছে!!
বলছি, তাহলে সাবান'টা দিয়ে কিছুই করো না?
মানে কিছুই করো না আর কি??"
এরপর যদি এই জলের মতো সরল, ফুলের মতো কোমল মেয়েটা রেগে যায়.....তাহলে আমায় দোষ দিও না.... # #

Kao
Komentar
Udio
avatar

Zahangir Alom

 
আমারও পড়ানো যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো আমারও পড়ানো যাহা চায়। তোমা ছাড়া মোর এ জগতে কেহ নাই কিছু নাই গো, আমারও পরানো যাহা চায়। তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও সুখেরও সন্ধানে যাও। আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়ও মাঝে আরো কিছু নাহি চাই গো। আমারোও পরানো যাহা চায়। 💞
Kao
· Odgovor · 1750138760

Izbriši komentar

Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?

Učitaj još postova

Ukini prijateljstvo

Jeste li sigurni da želite prekinuti prijateljstvo?

Prijavi ovog korisnika

Uredi ponudu

Dodajte razinu








Odaberite sliku
Izbrišite svoju razinu
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovu razinu?

Recenzije

Kako biste prodali svoj sadržaj i postove, počnite s stvaranjem nekoliko paketa. Monetizacija

Plaćanje novčanikom

Upozorenje o plaćanju

Spremate se kupiti artikle, želite li nastaviti?

Zatražite povrat novca