AFace1 AFace1
    #bangladesh #education #web #life #series
    詳細検索
  • ログイン
  • 登録

  • ナイトモード
  • © 2025 AFace1
    約 • ディレクトリ • お問い合わせ • プライバシーポリシー • 利用規約 • 返金 • Work • Points and Payments • DMCA

    選択する 言語

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

時計

時計 リール 映画

イベント

イベントをブラウズ 私の予定

ブログ

記事を閲覧する

市場

最新の製品

ページ

マイページ 気に入ったページ

もっと

フォーラム 探検 人気の投稿 ジョブ オファー 資金
リール 時計 イベント 市場 ブログ マイページ すべてを見る
Najib678
User Image
ドラッグしてカバーの位置を変更
Najib678

Najib678

@Najib678
  • タイムライン
  • グループ
  • いいね
  • 続く 8
  • フォロワー 0
  • 写真
  • 動画
  • リール
  • 製品
8 続く
0 フォロワー
1 投稿
男
image
Najib678
Najib678
10 の ·翻訳

1 m
দুই মুসাফির

নিঃসঙ্গ দুপুরে শহরের এক পুরোনো রেলস্টেশন। ছোট্ট শহরের এই স্টেশনটিতে এখন আর আগের মতো ভিড় থাকে না। কাঠের পুরোনো বেঞ্চ, ছাঁদের খসে পড়া রঙ, আর ধুলোমাখা জানালা যেন সাক্ষী হয়ে আছে সময়ের অদৃশ্য স্রোতের। ঠিক সেই সময়, স্টেশনের নির্জন এক কোণে এসে বসে দুই ভিন্ন মানুষ — দুই মুসাফির।

প্রথমজনের নাম হাফিজ। বয়স ষাটের কাছাকাছি। মাথায় সাদা টুপি, হাতে একটি পুরোনো কাপড়ের ব্যাগ। তিনি একজন হজ করে ফেরা বৃদ্ধ, যিনি জীবনের শেষ সময়ে এসে আত্মিক শান্তির খোঁজে আছেন। জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন ব্যবসায়, পরিবারে, সমাজে নানা দ্বন্দ্বে। এখন সব ছেড়ে দিয়ে ফিরেছেন নিজের গ্রামে, অথচ মনটা কেমন যেন অস্থির।

দ্বিতীয়জনের নাম রাকিব। বয়স আনুমানিক পঁচিশ। চোখে চশমা, হাতে একটি খাতা আর কলম। শহরের এক কলেজের ছাত্র, কিন্তু বাস্তবতার নির্মম চাপে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। নিজের পরিচয় খুঁজতে, লেখক হবার স্বপ্ন নিয়ে বের হয়েছেন অজানার পথে। বাড়িতে মা আছেন, ছোট দুই বোন। বাবাকে হারিয়েছেন শৈশবে। নিজেকে প্রমাণ করার তাড়নায় রাকিব শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে — কিন্তু কোথায় যাবে, কী করবে, তা নিজেও জানে না।

দুই জনেই স্টেশনের বেঞ্চে বসে। তারা আগে কখনো দেখা করেনি, কিন্তু ভাগ্যের এক অদ্ভুত টানে আজ তাদের দেখা হয়ে গেল।

হাফিজ প্রথমে মুখ খুললেন, “তুমি কোথায় যাও, ছেলে?”

রাকিব কিছুটা ইতস্তত করে বলল, “ঠিক জানি না। কোথাও যেতে চাই, একটু দূরে... একটু নির্জনে।”

হাফিজ হেসে বললেন, “আমারও তেমনই। এই বয়সেও মনে হয়, কোথাও চলে যাই, যেখানে কেউ চিনে না। নিজের সঙ্গে দেখা হোক আবার।”

রাকিব অবাক হয়ে বলল, “আপনিও কি পালাতে চান?”

“পালানো নয় বাবা,” হাফিজ বললেন। “কখনো কখনো মানুষ নিজেকে খুঁজে পেতে চায়। তখন সে চলে যায়। হয়তো সে মুসাফির হয় – পথিক, যার কোনো গন্তব্য নেই, শুধু পথ আছে।”

এই কথাগুলো রাকিবের হৃদয়ে ঝড় তুলল। সে নিজের খাতায় কলম চালিয়ে লিখতে লাগল – “মুসাফির মানে কেবল ভ্রমণকারী নয়, সে এক অনুসন্ধানী, এক অন্তর্জগতে যাত্রী।”

হাফিজ মৃদু হেসে খেয়াল করলেন ছেলেটির চোখে একরাশ আগ্রহ। তিনি বললেন, “তোমার লেখালেখি ভালো লাগে বুঝি?”

“হ্যাঁ,” রাকিব বলল, “লিখি। ছোটগল্প, কবিতা, ডায়েরি। মাঝে মাঝে মনে হয়, এগুলোই আমার সত্যি সঙ্গী।”

হাফিজ দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। “জীবনের অনেকটা সময় আমি কাটিয়েছি টাকার পেছনে ছুটে। এখন বুঝি, সবচেয়ে বড় সঙ্গী ছিল মনটা। কিন্তু তাকে সময় দিইনি।”

দুজনের মধ্যে এক অনন্য বন্ধনের সূচনা হলো। তারা একে অপরকে নিজের গল্প বলতে লাগল। হাফিজ বললেন তার যৌবনের প্রেম, যে মেয়েটিকে তিনি ভালোবাসতেন কিন্তু পরিবার মেনে নেয়নি। এরপর দায়িত্বের বেড়াজালে আটকে গিয়ে বিয়ে করেন অন্যকে, সংসার চালান, কিন্তু মনের কোথাও সেই প্রেমটা থেকে যায়।

রাকিবও খুলে বলল তার গল্প — কীভাবে সে লেখালেখিতে ডুবে যেতে যেতে বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, বন্ধুদের ছেড়ে দিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, আর এখন মনে হচ্ছে সে হয়তো ভুল পথে হাঁটছে।

হাফিজ বললেন, “ভুল বলে কিছু নেই রাকিব। যাত্রা মানেই শেখা। তুমি যদি পথটা বুঝতে পারো, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

একটি ট্রেন আসলো, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার চলে গেল। তারা কেউ উঠল না। রাকিব বলল, “আমরা কি যাচ্ছি না?”

হাফিজ উত্তর দিলেন, “হয়তো আমাদের যাওয়াটা এই কথোপকথনের মধ্যেই। হয়তো এই বসে থাকাই আমাদের যাত্রা।”

রাত ঘনিয়ে এল। স্টেশন প্রায় ফাঁকা। দু’জনে এখন একে অপরের অনেক আপন। যেন বহু পুরোনো পরিচয়।

হঠাৎ হাফিজ বললেন, “চলো, আজ রাতে স্টেশনেই থাকি। কাল সকালে আমি তোমাকে নিয়ে যাব আমার গ্রামে। তোমাকে এক জায়গা দেখাবো, যেখানে প্রকৃতি আর নীরবতা মিলে জীবনের মানে বোঝায়।”

রাকিব রাজি হলো। রাতে তারা একসঙ্গে গল্প করল, কিছু পুরোনো গান গাইল, আকাশের তারা গুনল। দুজনেই যেন জীবনের এক নতুন দিগন্তে পা রাখছে।

পরদিন তারা রওনা দিল হাফিজের গ্রামের দিকে। ছোট্ট, সবুজে ঘেরা এক গ্রাম। ঝিরঝিরে নদী, বাঁশবন, খেজুরগাছের সারি। রাকিব প্রথমবার এমন প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখল। তারা নদীর পাড়ে বসে ছিল, হাফিজ বললেন, “তুমি এখানে থাকতে পারো কিছুদিন। লিখো, ভাবো, নিজেকে খুঁজে পাও। আমি থাকব পাশে।”

সেই থেকেই রাকিব রয়ে গেল হাফিজের সঙ্গে। গ্রামের একটি খালি ঘরে থাকত, সকালবেলা হাঁটত, দুপুরে লিখত, সন্ধ্যায় হাফিজের সঙ্গে কথা বলত। হাফিজও যেন জীবনের শেষ প্রহরে পেয়ে গেলেন এক সঙ্গী, এক সন্তানস্বরূপ পথিক।

তিন মাস পর, রাকিব ফিরে গেল শহরে। সাথে নিয়ে গেল একখানা পাণ্ডুলিপি — “দুই মুসাফির” নামে একটি উপন্যাস। সেখানে লেখা আছে তাদের গল্প, পথ চলা, বন্ধন, আর আত্ম-অনুসন্ধানের কথা।

বইটি প্রকাশ পেল, পাঠকের মন ছুঁয়ে গেল। রাকিব এখন একজন লেখক। আর হাফিজ? তিনি গ্রামে আছেন, মাঝে মাঝে চিঠি পাঠান রাকিবকে। তার চিঠিতে একটাই কথা লেখা থাকে —

“মুসাফির কখনো থামে না, সে শুধু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভেতর দিয়ে এগোয়। তুমি হাঁটো, আমি থাকবো, এই পথে, চিরকাল।”

Read More

image
お気に入り
コメント
シェア
さらに投稿を読み込む

友達から外す

友達を解除してもよろしいですか?

このユーザーを報告

オファーを編集

ティアを追加








画像を選択
ランクを削除する
この階層を削除してもよろしいですか?

レビュー

コンテンツや投稿を販売するには、まずいくつかのパッケージを作成します。 収益化

ウォレットで支払う

支払いアラート

アイテムを購入しようとしています。続行しますか?

払い戻しをリクエストする