১ম অংশ 👇কিছুক্ষণ পরেই মনে হলো একজন মারা গেছেন। চিন্তা করলাম এই লাশটা এখানে কেন..? আবার দেখতে পুরোপুরি আমার মত..! স্বপ্ন দেখছিনা তো..?
না.. সত্যিই তো...
অনেকক্ষণ চিৎকার করে সবাইকে ডাকার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এ কি! কেউই আসছেনা..
একটু পর দেখলাম বোন রুমের লাইট জালালো এবং ওই লাশটার কাছে এসে বললো,ভাইয়া সেহরী খাবি না? ওঠ, সময় হয়েছে।"
আমিতো পুরোই অবাক, এইসব হচ্ছেটা
কি..? ওর কাছে গিয়ে বললাম, "অই.. তোর কি মাথা খারাপ হইসে? লাশটা এই রুমে আসলো কিভাবে? এইটা কার লাশ?"
দেখলাম, সে আমার কথায় কোন কর্ণপাতই করলো না। সেও লাশটা ধরে অবাক হলো এবং চিৎকার করে উঠলো..
মুহুর্তেই পাশের রুম থেকে আম্মু-আব্বু এসে স্তব্ধ। ধপ করে খাটে বসে লাশটাকে ধরে ঝাঁকাতে লাগলো এবং চিৎকার করতে লাগলো, "বাবা কি হইসে তোর..? কথা বলছিস না কেনো..? কথা বল...।" আম্মু ব্যাপারটা বোঝার সাথে সাথেই বেহুঁশ।
চিৎকারের আওয়াজে চাচা-চাচিরা, ভাবি, কাজিনরা সবাই জড়ো হলো। লাশটা দেখেই সবাই ইন্নালিল্লাহ পড়তে লাগলো। আশেপাশে কান্নার রোল পরে গেছে।
মুয়াজ্জিন বেচারা সেহরীর জন্য ডাকতে ডাকতে এমনিতেই হয়রান হয়ে গেছে, এখন আবার নতুন এলান করতে হবে..
মুয়াজ্জিন যখন আমার বাবার নাম নিয়ে বললো অমুকের ছেলে অমুক ইন্তেকাল করছে, তখন মনে হলো হাই ভোল্টেজের শক খেলাম।
সবাই আমাকে বাদ দিয়ে লাশটা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পরলো। কাউকেই বুঝাতে পারলাম না যে আমি বেঁচে আছি। মনে হলো সবাই পাগল হয়ে গেছে। এক কাজিনকে ক্ষেপে গিয়ে একটা ধাক্কাও মেরেছিলাম, সে দেখলাম বিন্দু পরিমাণ প্রতিবাদ করেনি।
Md Joynal abedin
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?