ChatGPT কি?
ChatGPT হলো বর্তমান সময়ের একটি State of Art Technology, যার পূর্ণরূপ হলো Chat Generative Pre-trained Transformer।। OpenAI থেকে প্রস্তুতকৃত এটি এমন একটি Artificial Inteligence সিস্টেম যা মানুষের খুব কাছাকাছি পর্যায়ে টেক্সট রেসপন্স তৈরি করতে সক্ষম। এই নতুন প্রযুক্তি ইদানিং আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এর ব্যবহার উত্তরোত্তর বেড়েই চলবে।

ChatGPT কি?
ChatGPT হলো এমন একটি Pre-Trained Language Model যা অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং মডেলের মাধ্যমে মানুষের মতো টেক্সট রেসপন্স তৈরি করতে সক্ষম।

সংজ্ঞা-২:
এটি একটি Language Model যা OpenAI দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি ডিপ লার্নিং এলগরিদম ব্যবহার করে মানুষের কথোপকথনের অনুরূপভাবে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে যা টেক্সট রেসপন্স হিসেবে প্রকাশ পায়।

English Definition:

Techopedia এর মতে, “a complex machine learning model that is able to carry out natural language generation (NLG) tasks with such a high level of accuracy that the model can pass a Turing Test.”

ChatGPT এর মুলবিষয়বস্তু:
আলাদা আলাদা রকমের ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের মাঝে ChatGPT একটি Bidirectional Language Model। এর অর্থ হলো এটি দুইটি আলাদা আলাদা বিষয় লক্ষ্য রেখে এর রেসপন্স প্রকাশ করে। এর একটি হলো যেসকল টেক্সট এর টেক্সট বক্সে দেওয়া হয়েছে এবং যার সাথে কথা বলা হচ্ছে তার সাথে চ্যাট জিপিটি এর চ্যাট হিস্ট্রি।

একই সাথে এটি একটি প্রি-ট্রেইনড মডেল, এর অর্থ হলো এটিকে জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করার পূর্বে অনেক অনেক শব্দ এবং ভাষার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হয়েছিলো। একই সাথে এটি একটি জেনারেটিভ মডেলও। এর অর্থ হলো এটি শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ধরে দেওয়া ছকের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এটি কথার ধরণের উপরে নতুন রেসপন্স দিতে পারে। অর্থাৎ এর Natural Language Generation খুবই উন্নতমানের। Natural Language Generation হলো একটি AI কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটি ভাষায় রেসপন্স তৈরি করে যেতে পারে।

সেই সাথে এটি এমন একটি Artificial Inteligence সিস্টেম যা টিউনিং টেস্টে উত্তীর্ণ। টিউনিং টেস্ট হলো সেই পরীক্ষা যার মাধ্যমে যাচাই করা হয় একটি AI কতটা মানুষের অনুরূপে আলাপ চালিয়ে যেতে পারে।

এর থেকে বুঝা যাচ্ছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত যতগুলো Language Model রয়েছে তার মাঝে ChatGPT সবার উপরে রয়েছে। এই এপ্লিকেশনটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এটি তার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কোনো একটি ব্যাপারে শিখতে পারে।


এর আরো একটি ভালো দিক হলো এটি অপ্রীতিকর এবং নেতিবাচক নির্দেশনা গ্রহণ করে না। ধরুন, আপনি কাওকে তাচ্ছিল্য করে কিছু লেখতে চাইছেন, কিংবা এমন কোনো তথ্য চাইলেন যেটি সমাজে অরাজকতা তৈরি করতে পারে, সেক্ষেত্রে চ্যাট জিপিটি আপনার অনুরোধ নাও শুনতে পারে।