Virtual Staging Ai | Vshmedia.com
Create beautiful, realistic houses out of your empty spaces with the help of Virtual Staging AI from Vshmedia.com. Traditional staging techniques are expensive and time-consuming.
https://vshmedia.com/shop-details/virtual-staging
**গল্পের নাম: "সবুজের ভিতর লুকানো শহর"**
নয়ন আর তিতলি, দুই ভাইবোন, বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছিল ভারতের উত্তর-পূর্বে ঘুরতে। একদম পাহাড় আর ঘন সবুজ বনভূমিতে ঘেরা জায়গা, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। স্থানীয় এক বৃদ্ধ তাদের বলল এক রহস্যময় গল্প—এক হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার কথা, “আরুণ্য নগর”, যা নাকি এখনও জঙ্গলের গভীরে লুকিয়ে আছে।
তাদের কৌতূহল চেপে রাখতে পারেনি। এক সকালে সুযোগ বুঝে নয়ন আর তিতলি বেরিয়ে পড়ে। মানচিত্র নেই, দিশা নেই—তবুও জঙ্গলের গভীরের একটানা হাঁটার পর তারা দেখতে পায় অদ্ভুত সব পাথরের কাঠামো। সেখানে ছিল দেয়ালে খোদাই করা চিত্র, অজানা ভাষা, আর এক বিশাল গেট—যেটা কিছুতেই খুলছে না।
হঠাৎ তিতলি দেখে পাশে একটা মূর্তির চোখে লাল পাথর বসানো। চাপ দিতেই গেট খুলে যায় এক অদ্ভুত শব্দে। তারা ঢোকে শহরের ধ্বংসাবশেষে—কিন্তু শহরটা একেবারেই ফাঁকা নয়। ভিতরে ছিল বিচিত্র গাছ, আকাশচুম্বী অজানা প্রাণী, আর অদ্ভুত এক আলো যেন সবসময় ছায়া সরিয়ে রাখে।
তারা বোঝে—এই শহর কোনো মানুষ হারায়নি, বরং নিজের ইচ্ছেতেই লুকিয়ে গেছে সময়ের পেছনে। তিতলি এক প্রাচীন বই খুঁজে পায়, যেখানে লেখা—“যে প্রকৃতিকে ভালোবাসে, তাকেই পথ দেখায় এই নগর।”
বাইরে ফেরার পথ সহজ ছিল না। কিন্তু তারা ফেলে আসে না কিছুই, শুধু বইটা সাথে নেয়। ফিরে এসে বাবা-মা যখন জিজ্ঞেস করে কোথায় ছিল, নয়ন শুধু বলে, “একটা শহর দেখেছিলাম, যেটা মানচিত্রে নেই।”
পরদিন সকালে তিতলি বইটা খোলে, আর দেখে—ভেতরে পাতাগুলো আস্তে আস্তে সাদা হয়ে যাচ্ছে। যেন সেই শহর তাদের স্মৃতিতে থেকে যেতে চায়, শুধু সেখানে আর ফিরে যাওয়া যাবে না।
#sifat10
গল্পের নাম: "টাইমকোড ১৯৪৭"
নির্ঝরের বয়স মাত্র ১৬, কিন্তু হ্যাকিং আর কোডিংয়ে সে প্রায় কিংবদন্তি। এক রাতে সে তার দাদার পুরনো কম্পিউটার ঘাঁটতে গিয়ে খুঁজে পায় একটা অদ্ভুত প্রোগ্রাম—নাম “TIMECODE_1947.EXE”। কৌতূহলে সে ক্লিক করে, হঠাৎ করে চারপাশে বিদ্যুৎচমক, আর চোখের সামনে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে যায়।
নিজেকে সে খুঁজে পায় ১৯৪৭ সালের কলকাতায়! দেশভাগের উত্তাল সময়, লোকজন আতঙ্কে। হাতে তার ছোট্ট একটা ডিভাইস—সেই কম্পিউটারের কোর। বুঝতে বেশি সময় লাগে না, এটা একটা টাইম ট্র্যাভেল মেশিন!
কিন্তু তার আগমনের সময়টা একদম ভুল জায়গায় হয়েছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তাকে লক্ষ্য করে ফেলে, কারণ তার হাতে থাকা ডিভাইসকে তারা “গোপন অস্ত্র” ভাবছে। পালাতে পালাতে নির্ঝর পরিচিত হয় মীরা নামের এক সাহসী কিশোরীর সঙ্গে, যে দেশপ্রেমিক গোপন গ্রুপের সদস্য।
দুজন মিলে চায় ব্রিটিশদের ফাঁকি দিয়ে সেই টাইম ডিভাইসটি আবার সক্রিয় করতে। কিন্তু তার জন্য দরকার “এনার্জি কোর”, যা আছে শহরের গভীরে এক গোপন ল্যাবে, যেখানে প্রবেশ মানেই মৃত্যু।
তবুও নির্ঝর ও মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযানে। অন্ধকার গলি, পেছনে ধাওয়া, সামনে বিপদ—সব পেরিয়ে তারা পৌঁছে যায় ল্যাবে। শেষ মুহূর্তে নির্ঝর ডিভাইস চালু করে, মীরাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “তুমি অসাধারণ!”—আলো ঝলসে ওঠে।
চোখ মেলে দেখে—সে আবার নিজের ঘরে। কিন্তু টেবিলের ওপর রাখা একটা পুরনো সাদা-কালো ছবি, যেখানে মীরা দাঁড়িয়ে আছে হাতে একটা কাগজ—লেখা: “ধন্যবাদ, বন্ধু।”
#sifat10
গল্পের নাম: "ভয়াল পাহাড়ের গুহা"
সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির পর হিমালয়ের পাদদেশে আবহাওয়া ছিল একদম পরিষ্কার। ঠিক এই সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বন্ধু—রিয়াদ, ইমন, তৃষা আর মেহরীন বের হয় ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে। তারা শুনেছিল স্থানীয় এক পাহাড়ি গাইডের মুখে "নিঃশব্দ গুহা"র কথা—এক গুহা, যেখানে ঢুকলে শব্দ হারিয়ে যায়, আর অনেকেই নাকি ফিরে আসেনি।
গল্প শুনেই রিয়াদের চোখ চকচক করে ওঠে। সে মানেই না এসব কুসংস্কার। অন্যরা দ্বিধায় থাকলেও শেষমেশ সবাই রওনা দেয়।
দুই দিন ট্রেকিংয়ের পর তারা পৌঁছে যায় পাহাড়ের সেই অংশে, যেখানে গুহাটি অবস্থিত। গাইড শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি হয়নি, ভয় পেয়ে সে ফিরে যায়। চার বন্ধু একসাথে ঢুকে পড়ে গুহার অন্ধকারে।
ভেতরে ঢুকেই তারা টের পায়—একটা অদ্ভুত নিস্তব্ধতা চারপাশে। কেউ কিছু বললেও অন্যরা শুনতে পায় না। শব্দ যেন গিলে নেয় গুহার দেয়াল! ভয় বাড়তে থাকে, কিন্তু তারা এগোতেই থাকে।
গুহার একদম গভীরে গিয়ে তারা দেখে এক পাথরের বেদি, তার ওপর চারটে গহনা বসানো, প্রতিটি ভিন্ন রঙের। পেছনে লেখা ছিল, “শব্দ তোমার শক্তি, নীরবতায়ই মুক্তি।” ইমন ভুল করে একটা গহনা তুলে নেয়—সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের মতো কাঁপতে থাকে গুহা।
তৃষা চিৎকার করে, কিন্তু কেউ শুনতে পায় না। হঠাৎ মেহরীন ইশারায় সবাইকে বোঝায়—সব গহনা ঠিক জায়গায় রেখে আসতে হবে। একে একে সবাই গহনা রেখে দেয়, কাঁপন থেমে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গুহার দেয়ালে একটা ফাঁক তৈরি হয়—একটা আলো বেরিয়ে আসে।
তারা দ্রুত বেরিয়ে পড়ে। বাইরে এসে সবাই একে অপরের মুখ চেয়ে থাকে—এত কাছের হয়েও, এতটাই দূরে ছিল যেন! কিন্তু এবার তারা জানে—কিছু রহস্য থাকাই ভালো, আর প্রকৃতিকে অত পরীক্ষা না করাই ভালো।
#sifat10
গল্পের নাম: "রহস্যময় দ্বীপ"
রাফি আর তার বন্ধু তানভীর ছোটবেলা থেকেই দুঃসাহসিক অভিযানে আগ্রহী। একদিন পুরনো একটি মানচিত্র খুঁজে পায় তারা রাফির দাদার পুরনো ট্রাংকে। মানচিত্রে একটি অজানা দ্বীপের উল্লেখ ছিল—"কালো দ্বীপ", যা নাকি বহু বছর আগে সাগরের বুকে হঠাৎ উদয় হয়ে আবার হারিয়ে যায়। জল্পনা-কল্পনার শেষে দুই বন্ধু সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সেই দ্বীপে যাবে।
একটি নৌকা ভাড়া করে, প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে তারা রওনা হয়। সাগর শান্ত, কিন্তু যতই গভীরে যেতে থাকে, বাতাস ভারি হয়ে ওঠে, আর হালকা কুয়াশায় ঘেরা পড়ে চারপাশ। হঠাৎ ঘড়ির কাঁটা থেমে যায়, কম্পাস ঘুরতে থাকে এলোমেলোভাবে। ঠিক তখনই তারা দেখতে পায় কুয়াশার ফাঁকে কালো এক ছায়াময় ভূমি—দ্বীপ!
তারা তীরে ভিড়ে, চারপাশে বিশালাকৃতির অদ্ভুত গাছ, আর অচেনা পাখির ডাক। দ্বীপের গভীরে একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখে তারা, দেয়ালে অজানা লিপি খোদাই করা। তানভীর হঠাৎ একটা পাথর সরিয়ে গোপন সিঁড়ি খুঁজে পায়। নিচে নামতেই এক গুহার মুখে বিশাল সোনার মূর্তি—তাতে লেখা: "যে সত্য হৃদয়ে আসে, সেতো ফিরে যায় আলো নিয়ে।"
তারা কিছুই নেয় না, শুধু মূর্তির ছবি তোলে। দ্বীপ থেকে ফেরার পথে, আশ্চর্যভাবে নৌকাটা আপনাআপনি চলতে থাকে ঠিক পথে। ফিরে এসে রাফি আর তানভীর সেই ছবি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখে একটি বই: "কালো দ্বীপের খোঁজে"। বইটি সাড়া ফেলে দেয় চারপাশে, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—পরবর্তীতে কেউ আর কখনও সেই দ্বীপের খোঁজ পায়নি।
#sifat10
গল্প: শেষ বিকেলের চিঠি
রোদটা ঠিক ম্লান হয়ে আসছিল, গাছের পাতায় পড়ে আলোটা যেন ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছিল। গ্রামের শেষ প্রান্তে পুরোনো একটি টিনের ঘর, জানালার পাশে বসে রোজিনার চোখ ছিল দূর আকাশে। হাতে চেপে ধরা একটি হলুদ খামে মোড়ানো চিঠি।
পাঁচ বছর আগে, সেই এক সন্ধ্যায় শহরের পথে পা রেখেছিল রোজিনা। স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া শেষ করে বড় চাকরি করবে, মায়ের কষ্টের জীবনটা বদলে দেবে। কিন্তু শহর বড় নিষ্ঠুর। চাকরির চেষ্টায় একরকম হাল ছেড়ে দিয়েছিল, ঠিক তখনই পরিচয় হয় সাকিবের সঙ্গে। সাকিব বলেছিল, “তোমার চোখে যে আগুন দেখি, সেটাই একদিন তোমায় উড়িয়ে নিয়ে যাবে।”
ভালোবাসাটা নিঃশব্দে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বাস্তবতা প্রেমের চেয়েও কঠিন। একদিন হঠাৎ সাকিবের চাকরি বদল, আর সাথেই যোগাযোগের ছেদ। রোজিনা বুঝেছিল, কিছু সম্পর্ক কেবল স্মৃতির মধ্যেই বেঁচে থাকে।
আজ হঠাৎ এই চিঠি। সাকিব লিখেছে—
"রোজি, জানি অনেক দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু জানো, তোমার মুখটা আমার বুকপকেটের ছবিতে এখনো আগের মতোই জ্বলজ্বল করে। ফিরে যেতে পারি না, কিন্তু তোমার কাছে ক্ষমা চাই। তোমার স্বপ্নের মানুষটা হতে পারিনি বলে..."
রোজিনা চোখ বন্ধ করল। চিঠিটা বুকের কাছে ধরে রাখল কিছুক্ষণ। তারপর ধীরে ধীরে জানালার পাশ থেকে উঠে দাঁড়াল। চিঠিটা পুড়িয়ে দিল মৃদু আগুনে। আরেকবার হাঁটবে, কিন্তু এবার শুধু নিজের জন্য। এইবার সে কারো অপেক্ষা করবে না।
#sifat10