জমজ শিশুকন্যা জন্ম দিতে স্ত্রীর মৃত্যু।বাচ্চা সামলাতে স্বামী অপারগ।শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে বললো...
বাচ্চা দুইটাকে নিয়ে মহা যাঁতাকলে পরেছি।৩ রাত ঘুম হয়না।অফিসও করতে পারছি না
শ্বশুর চিন্তিত হয়ে তা তো পারবেই না।তাছাড়া বাচ্চা সামলানো পুরুষ মানুষের কর্ম নয়।মমতাময়ী এই কাজ প্রকৃতি মেয়েদের মধ্যে দিয়ে দিয়েছে
বাবা আপনি একটু বুদ্ধি দিন,কি করা যায়
বাচ্চার দেখভাল করার জন্য কাউকে আনা প্রয়োজন
কাজের লোক রাখবো?
একদম না।এখানে এক বাড়িতে কাজের মহিলার কাছে সন্তান রেখে গেছে,বাচ্চা কারেন্টের বোর্ডে হাত দিয়ে মরে গেছে।বুয়া এসি ছেড়ে ঘুমাচ্ছিলো
নিজের বাবা মা ও তো নেই।আছেন আপনারাই।আপনি আর মা যদি আমার বাড়িতে থাকেন,ওদের দেখভাল করতে পারবেন না?
তোমার শ্বাশুড়ি তো শরীর নিয়েই পারেনা।বাচ্চাকে শুধু কোলে নিয়ে বসে থাকলেই তো হয়না।আরো হাজারটা কাজ থাকে
শ্বশুর-শ্বাশুড়ি জামাই সবাই চিন্তিত।ফুটফুটে মেয়েদের দিকে তাকালে বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে।ছোট মেয়েকে হোস্টেল থেকে আনা হলো।
ছেলে হিসেবে জামাই সুপুরুষ।এক চাহনিতে যেকোনো নারীর মন হরণ করার ক্ষমতা রাখে।ছোট মেয়ের সাথে বিয়ের কথা আলোচনা করলো শ্বশুর শ্বাশুড়ি।শ্বাশুড়ির মত আছে,বললেন
এমন ভদ্র,দায়িত্ববান ছেলে দুটো হয়না।তনু রাজি থাকলে বিয়ে দিবো।বোনের সন্তানকে ও নিজের মায়ের আদর দিতে পারবে
দীর্ঘ আলোচনা,মন ধরাধরির পর বিপত্নীক স্বামী বিয়ে করলো আপন শ্যালিকাকে।বাসর রাতে নববধূ বোনের সন্তানদের দিকে তাকিয়ে বললো
ওদের মায়ের কাছে রেখে আসি
নববধূর কথায় স্বামীর মনঃক্ষুণ্ন,শেষমেশ বাসর হয়নি।মেয়েদুটোকে কোলে নিয়েই রাত পারি দিলেন।
গল্প অনিশ্চয়তা
TANIA AKTER
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?