সৎ চরিত্রই মানুষের মূল সম্পদ। এর মাধ্যমে মানুষের মূল্যায়ন হয়, একজন মানুষ সৎ চরিত্রের মাধ্যমে সম্মানিত হতে পারে আবার অসৎ চরিত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ধাপে পৌঁছে যেতে পারে। সুন্দর ব্যবহার ও আচার-আচরণ বলতে আমরা বুঝি কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলা, দেখা হলে সালাম দেওয়া, কুশলাদি জিজ্ঞেস করা, কর্কশ ভাষায় কথা না বলা, ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত না হওয়া, ধমক বা রাগের সুরে কথা না বলা, পরনিন্দা না করা, অপমান-অপদস্ত না করা, উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা, গম্ভীর মুখে কথা না বলা, সর্বদা হাসিমুখে কথা বলা, অন্যের সুখে সুখী হওয়া এবং অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া। এছাড়া কারও বিপদে দেখা করে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করাও সুন্দর আচরণের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লামা জুরজানী আখলাকে হাসানার একটি যথার্থ ও গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তৎপ্রণীত ‘কিতাবুত তা‘রীফাত’ নামক গ্রন্থে। তিনি বলেন- ‘খুলুক বা চরিত্র হচ্ছে আত্মার বদ্ধমূল এমন একটি অবস্থা, যা থেকে কোনো চিন্তা-ভাবনা ব্যতীতই অনায়াসে যাবতীয় কার্যকলাপ প্রকাশ পায়। আত্মার ঐ অবস্থা থেকে যদি বিবেক-বুদ্ধি ও শরীআতের আলোকে প্রশংসনীয় কার্যকলাপ প্রকাশ হয় তবে তাকে আখলাকে হাসানা নামে অভিহিত করা হয়। (শরীফ আলী বিন মুহাম্মাদ আল জুরজানী, কিতাবুত তা‘রীফাত, পৃ. ১০১)
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। আচার-ব্যবহার ও লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বদা ভালর পরিচয় দিবে।
্রحَسَنٍ الخَالِقِ বা “সৎ চরিত্র” হচ্ছে- নম্র স্বভাব, ভদ্র ব্যবহার, হাস্যোজ্জ্বল মুখ এবং ভাল কথা। এমনিভাবে বলা যায়- কথায় ও কাজে সৎ থাকা এবং কথা ও কাজের ক্ষেত্রে অন্যকে দুঃখ-কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
Jannatul Ferdous
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟