কোথাও কেউ নেই
জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক 'কোথাও কেউ নেই' যা দেশের সর্বাধিক দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও নির্দেশক বরকত উল্লাহ নির্দেশিত ধারাবাহিক এটি যার 'বাকের ভাই' চরিত্রটি এখনো দর্শকের মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। মূলত 'কোথাও কেউ নেই' উপন্যাসের কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই ধারাবাহিকটি নির্মাণ করা হয়।
ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল "বাকের ভাই"। বাকের ভাই ছিল এলাকার গুন্ডা প্রকৃতির লোক এবং তার সঙ্গী ছিল "বদি" আর "মজনু"। সে ভালবাসতো সেই এলাকারই বাসিন্দা মুনাকে। মুনার চরিত্র ছিল বাকের ভাইয়ের একেবারেই বিপরীত। বাস্তববাদী সংগ্রামী নারী মুনা প্রথমদিকে বাকের ভাইকে পছন্দ করতে না পারলেও শেষের দিনগুলোতে ঠিকই বাকেরের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সময় আর তখন কারো নিয়ন্ত্রণে থাকে না। মিথ্যে মামলায় ফেঁসে যায় বাকের ভাই, আদালতের রায়ে ফাঁসি হয় তার।
এক ভোরে, আধো আলো অন্ধকারের মাঝে জেল গেট দিয়ে বাকের ভাইয়ের লাশ বের করে দেয়া হয়। আর সেই লাশ গ্রহণ করতে এগিয়ে আসে বাকের ভাইয়ের প্রিয়তমা মুনা। বাকের ভাইয়ের এই ফাঁসি সেই সময়ে দর্শকের মাঝে এতটাই প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল যে বাকের ভাইয়ের ফাঁসির প্রতিবাদে জায়গায় মিছিল হয়েছিল, লেখকের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিলো বিক্ষুব্ধ দর্শক। বাকের ভাই আর মুনার 'একটি না হওয়া ভালবাসার গল্প' যুগে যুগে পাঠককে কাঁদিয়েছে, কাঁদিয়েছে দর্শককে।
hanif ahmed Romeo
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?