হাঁড়িচাচার গরু চুরি
হাঁড়িচাচা পাড়ার সবচেয়ে কৃপণ আর ধ্যানী টাইপ মানুষ। মুখে সবসময় আল্লাহর নাম, হাতে লাঠি, আর পেছনে একটা গরু — নাম “লক্ষ্মী”। এই লক্ষ্মীই হাঁড়িচাচার প্রাণ।
একদিন সকালে দেখা গেল গরু নাই! চাচা তো ভোরেই উঠেন, উঠেই দেখেন খোঁয়াড় ফাঁকা! চিৎকার দিয়ে উঠলেন, “ডাকাত! আমার লক্ষ্মীরে নিয়া গেল!”
পাড়ার ছেলেপুলে, বড়রা, এমনকি রিকশাওয়ালা রফিকও লাইন দিয়ে হাজির — সবাই গরু খোঁজে। হাঁড়িচাচা কাঁদে কাঁদে বলেন, “ওরে লক্ষ্মী, কারে ফাঁকি দিছিস?”
পুলিশে খবর দেওয়া হলো। এক কনস্টেবল এসে বলল, “খোঁয়াড়ে তালা দেন নাই?” চাচা গম্ভীর মুখে বললেন, “তালা দিলেই যদি গরু থাকে, তাহলে আমারে তালা দিয়া ঘরে রেখে দিত!”
যাই হোক, বিকেলের দিকে ছোট্ট নান্টু খবর দিল, “চাচা, আপনার গরু তো মন্দিরের সামনে বসে, ভোগের থালার পাশে!”
চাচা ছুটে গেলেন। গিয়ে দেখেন, লক্ষ্মী গরু আরাম করে বসে আছে, পাশেই কেউ একটা কলা ছুড়ে দিচ্ছে। আর গরু খাচ্ছে মহা শান্তিতে!
হাঁড়িচাচা জোরে জোরে বললেন, “হেই রে! আমার লক্ষ্মী এত নাস্তিক হইলো কবে?”
একজন বলল, “চাচা, নাস্তিক না, ভোজনরসিক!”
সবাই হেসে গড়াগড়ি, আর চাচা হাঁড়ি মুখ করে গরু ধরে বাড়ি ফিরলেন, গলা নামিয়ে বললেন, “আজ থেইকা নাম দিলাম — পেটুক লক্ষ্মী।”
#sifat10
MD Nafis islan
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟