বাবুলার ভূত ধরা
পাড়ার বাবুলা ছিল এক নম্বর পাকা, দুই নম্বর আম-চোর। যেই গাছে আম, সেদিকে বাবুলার নজর — এমনকি পুলিশও জানত, “পাকা আম মানেই বাবুলার শিকার!”
তবে পাড়ার মোকলেছ কাকুর আমগাছ ছিল একটা ব্যতিক্রম — কেউ কাছে যায় না। কাকু গম্ভীর মানুষ, গাছ পাহারা দেয় এমন করে, যেন সোনার গুপ্তধন রাখছে।
কিন্তু বাবুলা থেমে থাকার ছেলে না। একদিন প্ল্যান কইরা রাত ১২টায় গাছে উঠল। চাঁদের আলোয় আম ঝুলছে, বাবুলার চোখ চকচক করছে।
কিন্তু ওইদিন... কাকু আগেই আঁচ পেয়েছিল। তাই গাছের নিচে সাদা কাপড় জড়িয়ে পাটের বস্তা পরে চুপচাপ বসে ছিল, যেন ভূত!
বাবুলা প্রথমে দুইটা আম পেড়ে পকেটে ঢুকাচ্ছে, এমন সময় হঠাৎ নিচ থেকে আওয়াজ —
“আম চুরি করলি... এখন তোরে লইয়া যাবো...!”
বাবুলা নিচে তাকিয়ে দেখে সাদা কাপড়ে মোড়া এক ‘ভূত’ উঠে দাঁড়ায় — কাঁপা গলায় বলছে, “বস-স-ম!”
এই কথা শোনার পর বাবুলা তো চেঁচামেচি শুরু —
“মা গো ভূত! আমি আর করব না! দেহের উপর দয়া কর!”
এক লাফে গাছ থেকে পড়ে প্যান্ট ছিঁড়ে, পকেটের আম ছড়িয়ে, দৌড়! সোজা পুকুরে ঝাঁপ!
পরদিন সবাই জানল, বাবুলা আম চুরি করতে গিয়ে “ভূতের হাতে ধরা” খেয়েছে। কিন্তু কাকু পরদিন ঘোষণা দিল,
“এই গাছ এখন ‘ভূত মার্কা’, বুঝলা? মোকার না, ভূতের কৃতিত্ব!”
বাবুলা এখনো গাছ দেখলেই চশমা ঠিক করে বলে, “আসলে আমি তখন ভূত গবেষণা করতেছিলাম।”
#sifat10
MD Nafis islan
Kommentar löschen
Diesen Kommentar wirklich löschen ?