9 w ·Traducciones

রমিজ আর বাঁশি বাজানো

রমিজ ছিল একটু অন্য রকম — পাড়ার “আর্টিস্ট”! ঘরে সারাক্ষণ বাঁশি বাজাত, গলা তুলে রবীন্দ্রসংগীতও গাইত, যদিও কোনো সুরে গাইত কিনা তা নিয়ে পুরো পাড়া দ্বিধায়!

সে বলত, “আমার বাঁশির সুর শুনে গাছের পাতাও নাচে!”

একদিন ভাবল, পুকুরপাড়ে বসে বাঁশি বাজালে সবাই দেখে মুগ্ধ হবে। গিয়ে বসে, চোখ বন্ধ করে শুরু করল — “পিয়া রে... পিয়া রে...”

কিন্তু সে জানত না, পেছনে বেঁধে রাখা আছে মালিকের রাগী পাঁঠা "কালা"। কালা বাঁশির আওয়াজ শুনে ভাবল, কেউ তাকে খোঁচাচ্ছে!

রমিজ তো আর পিছনে তাকায় না, সে ডুবে আছে শিল্পে। হঠাৎ পাঁঠাটা দৌড় দিয়ে হর্ণের মতো “বেেে” করে ঝাঁপিয়ে পড়ল রমিজের পিঠে!

রমিজ চিৎকার দিয়ে লাফ — বাঁশি একদিকে, রমিজ আরেক দিকে! দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে ঢুকল সরাসরি ফুলির চাচির রান্নাঘরে — চুলা উল্টে, ডাল ছিটকে পড়ে তার মাথায়!

চাচি হা করে তাকিয়ে বলে, “তুমি কি বাঁশিওয়ালা না সার্কাসওয়ালা?”

পরদিন সবাই বলল,
“রমিজের বাঁশি এত সুরে বাজে, পাঁঠাও নাচে... আর শেষে ‘ডাল নৃত্য’ হয়!”

রমিজ পরদিন ঘোষণা দিল, “আজ থেকে আমি বাঁশি বাদ! এখন থেকে আমি কেবল কবিতা লিখব।”

কেউ জিজ্ঞেস করল, “সে কবিতায় কি থাকবে?”

উত্তর দিল, “পাঁঠা, ডাল আর দৌড়ের ব্যথা!”

#sifat10