9 C ·Traduzir

শফি মোল্লার বেগুনের ফাঁদ

শফি মোল্লা ছিল একরোখা মানুষ — তার উঠোনের সবজিগাছ ছিল প্রাণের চেয়েও প্রিয়। বিশেষ করে বেগুনগাছ। প্রতিদিন সকালে গিয়ে বেগুনের গায়ে হাত বুলিয়ে বলত, “তুই আমার কপালের তিল!”

কিন্তু সমস্যা একটাই — পাড়ার ছেলেপুলে রাতের বেলা চুপচাপ এসে গাছ থেকে বেগুন ছিঁড়ে নিয়ে যেত। মোল্লার শান্তি একেবারে ভণ্ডুল।

একদিন রেগে আগুন হয়ে প্ল্যান করল — প্রতিটা বড় বেগুনে চুপিচুপি সুঁই গুঁজে রাখল। তারপর নিজের হাতেই নাম দিল, “বেগুন ফাঁদ”!

রাতে ছেলেপুলেরা আসে, দেখে টসটসে বেগুন ঝুলছে। খুশিতে টুপটাপ ছিঁড়ে নিয়ে যায়। পরদিন খবর ছড়ায়, “চারজনের দাঁত ফুঁড়ে গ্যাছে!” কেউ আবার বলছে, “রক্ত পড়ছে মুখে!”

শফি মোল্লা দাড়িতে হাত বুলিয়ে হাসে — “নাইকো কষ্ট, এখন বুঝবে চুরি মানে কি!”

কিন্তু হাসির দিন বেশিদিন থাকল না।

পরদিন সকালে তার বউ তরকারি রান্না করল নিজের উঠোনের বেগুন দিয়ে। সবাই খেতে বসে। হঠাৎ শফি মোল্লা মুখ টিপে “উঁহুঁ!” করে উঠল — তার দাঁতেও লেগে গেছে একটা পিন!

চোখ বড়, চেহারা ফ্যাকাসে — বউ চেঁচায়, “হায় আল্লাহ, আপনি নিজের ফাঁদে নিজেই ধরলেন!”

পাড়ায় রটে গেল,
“শফি মোল্লার বেগুন ফাঁদ — খায় শত্রু, খায় মোল্লা সাধ!”

শফি সেই থেকে বেগুন খায় না, দাঁতের দোষ দিয়ে বলে, “এই দাঁত বেগুন শত্রু হইয়া গেছে!”

#sifat10