9 di ·Menerjemahkan

পাকা বুড়ার পকেট মারার কাহিনি

বড় শহরের এক ফুটপাতের চায়ের দোকানে প্রতিদিন এক বুড়ো এসে বসে। গায়ে ময়লা ধুতি, মুখে পাকাচুলের দাড়ি, হাতে লাঠি। কেউ বলে পাগল, কেউ বলে সাধু। কিন্তু আসলে সে ছিল এক হাফ-অবসরে যাওয়া পকেটমার, যার চোখ আর হাত আজও আগের মতোই চটপটে।

লোকজন ভাবে, “বুড়ো তো নিরীহ।” আর বুড়ো ঠিক এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতো। সে চায়ের দোকানের ভিড়ে ঢুকে পড়ে চুপিচুপি কাজ সারতো। তার টার্গেট হতো মোবাইল, মানিব্যাগ, কখনো বা জামার বোতাম পর্যন্ত!

একদিন এক তরুণ ছেলেকে পছন্দ হলো তার। ছেলেটা নতুন স্মার্টফোন হাতে ব্যস্ত, কানে হেডফোন, পাশে ব্যাগ খোলা। বুড়ো ধীরে ধীরে কাছে গেল, হাতে কাপড়ের রুমাল মুঠোয় নিয়ে ছেলেটার পাশে গা ঘেঁষে দাঁড়ালো। আর ঠিক তখনই এক মোক্ষম ঝাঁকুনিতে ফোনটা গেল বুড়োর থলেতে।

বুড়ো ভাবলো, “সাবধানে বেরিয়ে যাই।” কিন্তু ছেলেটা ছিল একটু আলাদা। সে বুঝে ফেলেছিল কিছুর গড়বড় হয়েছে। হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো, “এই বুড়ো! দাঁড়াও!” পুরো দোকান চমকে উঠলো। বুড়ো পালাতে চাইল, কিন্তু লাঠি ভর দিয়ে অনেক দূর যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না।

লোকে এসে ঘিরে ফেলল বুড়োকে। কেউ মোবাইল খুঁজে পেল তার থলেতে। কেউ থাপ্পড় মারলো, কেউ গালাগাল দিলো। বুড়ো চুপ করে সব সহ্য করলো, শেষে বললো, “ভুল হয়ে গেছে বেটা… পুরনো অভ্যাস ছাড়তে সময় লাগে।”

এই ঘটনার পর কেউ আর তাকে সাধু ভাবে না। এখন সে বসে থাকে রাস্তার এক কোণায়, চুপচাপ। আর পথচলতি তরুণরা তাকে দেখে বলে, “বুড়োটা বুঝি এক সময় কামালের কাজ করতো!”

#sifat10