9 i ·Översätt

ঝন্টুর জমি বিক্রির যন্ত্রণা

ঝন্টু ছিল এক দারুণ অলস মানুষ। উঠতে দেরি, খেতে দেরি, আর কাজ করতে গেলে একেবারেই না। সে বাবার রেখে যাওয়া একটা ছোট জমিতে চাষ করতো—মানে, মাঝেমাঝে গিয়ে হেঁটে আসতো আর বলতো, “এই জমি আমার ঘাম আর ভালোবাসার ফসল।”

কিন্তু জমি থেকে ঠিকমতো ফলন আসছিল না। একদিন হঠাৎ ঝন্টুর মাথায় এল, “এত কষ্ট করে আর কী হবে? জমি বিক্রি করে টাকা পেলে তো রাজা হয়ে থাকা যায়!”

সেই ভাবনা মাথায় নিয়েই শহরের এক দালালকে ধরল সে। দালাল বলল, “ভাই, জমি ভালোই, কিন্তু দাম কম হবে। পেছনের অংশে তো কুয়া আছে, সেটা কেউ পছন্দ করবে না।”
ঝন্টু বলল, “তা কুয়াতে কে পড়ে যাচ্ছে নাকি?”
দালাল হাসল, “তাই তো সমস্যা! পড়লেই তো বিপদ!”

শেষমেশ এক ক্রেতা রাজি হলো, তবে শর্ত দিল—জমির সঙ্গে কুয়াও ভরাট করতে হবে। ঝন্টু বলল, “কুয়া তো জল দেয়, আর আমি জল খেতে ভালোবাসি!”
ক্রেতা বলল, “তবে আপনি জমি রাখেন, আমরা চললাম।”

এইভাবে কয়েকজন ক্রেতা ফিরিয়ে দিল। শেষে ঝন্টু ঠিক করল, “এই কুয়াই আমার সমস্যার মূল। একে ঘুষি মারি!”
সে গিয়ে কুয়ার ধারে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে লাগলো, “তুই কি আমার জীবন নষ্ট করবি, হ্যাঁ কুয়া?”

পাশের জমির লোকজন দেখে হাসতে লাগল, একজন বলল, “ঝন্টু ভাই, এবার যদি কুয়া উত্তর দেয়, তো আমরাও জমি কিনব!”

ঝন্টু বুঝল, সে নিজের গর্তে নিজেই পড়ছে। শেষে জমি না বিক্রি করে সে আবার হালচাষ শুরু করল। আর সবাইকে বলল, “জমি হলো বউয়ের মতো—না রাখলে শান্তি নেই, আবার রাখলেও কাজ না করলে ঝামেলা!”

#sifat10