9 که در ·ترجمه کردن

নসু মুচির নোটবই রহস্য

নসু ছিল গ্রামের একমাত্র মুচি। রাস্তার ধারে একটা ছাপড়া দোকান, টাঙানো কয়েক জোড়া পুরোনো জুতো, আর মাথায় চিরচেনা গামছা। কিন্তু নসুর এক অদ্ভুত অভ্যাস ছিল—সে সবকিছু একটা নোটবইতে লিখে রাখত। কার জুতো ঠিক করল, কে টাকা দিল, কে দিল না—সব!

লোকজন ভাবতো, “এই তো মুচি, আবার লেখাপড়া করে বুঝি!”
নসু বলতো, “এই বইটা আমার সব, হারালে তো সর্বনাশ!”

একদিন হঠাৎ একটা ঘটনা ঘটলো। নসুর নোটবই হারিয়ে গেল। দোকানে পায়নি, বাড়িতেও না। সে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো, “ও বই ছাড়া আমি শেষ!”

গ্রামের লোকজন ভিড় করল দোকানে। মজা দেখতে কে না চায়! কেউ বলল, “নসু ভাই, আমার তো আপনার কাছে টাকা নাই, আপনি ভুলে গেলে আমি ধন্য!”
আরেকজন বলল, “বইয়ের সঙ্গে কি মেমোরিও গেছে?”

তবে সবচেয়ে ভয় পেল সেই লোকটা, যার ৫ জোড়া জুতো মেরামত করিয়ে টাকা দেয়নি—নসু তাকে প্রতিদিন বই দেখে মনে করিয়ে দিত।

তিনদিন পর হঠাৎ দেখা গেল—নসু নতুন এক নোটবই হাতে বসে আছে, আর মুখে রহস্যময় হাসি।
লোকজন বলল, “এই বই আবার কোথা থেকে এল?”
নসু বলল, “আগের বই পাই নাই। কিন্তু সব নাম মনে আছে। নতুন বইতে আবার সব লিখে ফেলেছি!”

ভয়ে সেই ঋণী লোক নিজেই এসে বলল, “ভাই, আপনার তো মনে শক্তি বইয়ের চেয়ে বেশিই!”
নসু মুচকি হেসে বলল, “জুতো সেলাই আর হিসাব রাখা—দুটোই আমার শিল্প!”

সেই থেকে সবাই বলে, “নসুর পায়ে জুতো না থাকলেও, তার স্মৃতিতে তালা লাগানো যায় না!”

#sifat10