9 i ·Översätt

বদি মিয়ার বোতলের ব্যবসা

বদি মিয়া ছিলেন গ্রামের সবচেয়ে “বুদ্ধিমান” লোক—অন্তত তিনি নিজে তাই ভাবতেন। নতুন কিছু দেখলেই ভাবতেন, “এইটা দিয়ে যদি টাকা বানানো যায়!” একদিন বাজারে গিয়ে দেখলেন, একজন লোক পুরোনো কাচের বোতল কিনছে। বদি মিয়া জিজ্ঞেস করলেন, “ভাই, এইসব বোতল দিয়ে কী করেন?”
লোকটা বলল, “কারখানায় যায়, আবার রিসাইকেল হয়।”

বদি মিয়ার মাথায় লাইট জ্বলে উঠলো! সে ভাবল, “এই তো আমার স্বর্ণের খনি! গ্রামে তো কত বোতল পড়ে থাকে—আমি কুড়িয়েই লাখপতি!”

সেই দিন থেকেই শুরু হলো তার অভিযান। গাঁয়ের বাচ্চাদের ডাক দিল, বলল, “যেই কাচের বোতল আনবে, পাবে একটা করে লজেন্স!”
বাচ্চারা দৌড়ে গেল মাঠে-ঘাটে, ঝোপে-জঙ্গলে। কয়েক দিনের মধ্যে বদি মিয়ার উঠানে জমে গেল বোতলের পাহাড়।

এবার শহরে গিয়ে বিক্রি করতে হবে। একটা ভ্যানে বোতল বোঝাই করে শহরে রওনা দিল। কিন্তু সমস্যা হলো—বেশিরভাগ বোতল ছিল ফাটা, ভাঙা বা ময়লা! কারখানার লোক বলল, “ভাই, এগুলা তো কাজে আসে না। এসব তো আবর্জনা!”

বদি মিয়ার চোখ কপালে! বলল, “আবর্জনা? এ তো আমার ভবিষ্যৎ!”
লোকে হাসল, “ভবিষ্যৎ যদি ভাঙা বোতলে বাঁধো, তাহলে কপালে কাটা ছাড়া কিছু নাই!”

বদি মিয়া হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। কিন্তু এত বোতল নিয়ে কী করবে?
তখন তার মাথায় এল এক "অসাধারণ" বুদ্ধি—বোতল দিয়ে গরুর জন্য ঘন্টার মতো গলা-ঘণ্টি বানাবে!

সে শুরু করলো বোতলের গলায় দড়ি বেঁধে গরুর গলায় পরানো। একদিন গরু হঠাৎ দৌড় দিল, গলায় ১০টা বোতল!
টিং টাং টুন টান টিন টান… পুরো গ্রাম জেগে উঠলো!
লোকজন বলল, “এটা কি গরু, না মিউজিক ব্যান্ড?”

শেষমেশ চেয়ারম্যান এসে বললেন, “বদি মিয়া, গরুতে বোতল বাজিয়ে আর কতদিন চালাবেন?”
বদি মিয়া মাথা চুলকে বলল, “ভাই, ব্যবসা নাই ঠিক আছে, তবে গ্রামের লোক অন্তত এখন আমাকে মনে রাখবে!”

সেই থেকে সবাই তাকে ডাকে “বোতল বদি”, আর বলে—“আইডিয়া তো অনেকের থাকে, কিন্তু বদির আইডিয়া সবসময় বেমানান!”

#sifat10