মামু মুন্সির বুদ্ধির খেলা
মামু মুন্সি ছিল গ্রামের এক চালাক মানুষ। ছোটবেলা থেকেই সে সবসময় নিজের বুদ্ধি আর চতুরতায় সবার থেকে একটু এগিয়ে থাকত। গ্রামের লোকজন তাকে খুবই সম্মান করত, কারণ মামু মুন্সি শুধু বুদ্ধি দেখাতেই নয়, প্রয়োজন পড়লে কাজও করত।
একদিন গ্রামে নতুন একজন বড় ধনী লোক এলেন, নাম তার বদর মিয়া। সে ভাবল, “এই গ্রামের বুদ্ধিমান মানুষটা দেখতে হবে।” বদর মিয়া মামু মুন্সির কাছে গেলেন, বললেন, “তুমি কি সত্যিই বুদ্ধিমান? তাহলে আমাকে একটা কাজ করো, যার জন্য আমি তোমাকে ভালোই ইনাম দেব।”
মামু মুন্সি হাসল, “কী কাজ, বদর মিয়া? বলুন তো।”
বদর মিয়া বলল, “আমার বাগানে অনেক বুদ্ধিমান পাখি এসেছে। তারা আমার ফল-ফসল খেয়ে ফেলছে। তুমি যদি তাদের থেকে বাগানকে রক্ষা করতে পারো, তবে আমি তোমাকে অনেক টাকা দেব।”
মামু মুন্সি ভাবল একটু... বুদ্ধির খেলা করতে হবে।
সে বলল, “ভাই, পাখিদের ঠেকানো খুব কঠিন কাজ। তবে আমি একটা বুদ্ধি নিয়ে আসছি।”
পরদিন মামু মুন্সি একটি বড় পুতুল বানালো। পুতুলের মাথায় একটা পুরনো টুপি, হাতে একটা লাঠি, আর গলায় একটা লাল মুড়ি ঝোলানো ছিল। পুতুলটা রেখে দিল বাগানের মধ্যে।
পাখিরা যখন বাগানে আসল, তারা প্রথমে পুতুল দেখে খুব ভয় পেলো। তারপর আস্তে আস্তে তারা বুঝল, এটা মানুষ না। কিন্তু তখন পর্যন্ত পাখিরা বাগানে ঢুকতে সাহস পেল না।
বদর মিয়া খুব খুশি হয়ে মামু মুন্সিকে পুরস্কার দিলেন।
কিন্তু মামু মুন্সি বুঝতে পারল, পাখিরা আবার ফিরে আসবে। তাই সে পুতুলটাকে ঘোরাতে লাগল, যাতে পুতুল যেন হাঁটছে। গ্রামের ছেলেরা এসে পুতুলটার সঙ্গে খেলত। একদিন পুতুল পড়ে গেল আর ভেঙে গেল।
তখন পাখিরা বুঝল, বাগানটা এখন নিরাপদ। তারা আবার জমে উঠল ফল খেতে।
মামু মুন্সি তখন একটি নতুন পরিকল্পনা করল। এবার সে পুতুলের জায়গায় বড় একটা কাঁটাতার দিয়ে বাগানের চারপাশ ঘিরে দিলো। এবার পাখিরা আসলেও আর ঢুকতে পারল না।
বদর মিয়া খুবই খুশি হয়ে আবার এক বড় ইনাম দিলেন মামু মুন্সিকে।
এই কিস্সা থেকে সবাই শিখল, শুধু বুদ্ধি নয়, কখনো কখনো কাজের সাথে কঠোর পরিশ্রম ও প্রয়োজন।
#sifat10
Siyam Hossain
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Siyam Hossain
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Turj03
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟