13 w ·Vertalen

দুঃখ নিয়ে আরও গভীরভাবে আলোচনা করা যাক। দুঃখ শুধু একটি অনুভূতি নয়, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া যা আমাদের মন, শরীর এবং আত্মায় প্রভাব ফেলে।
দুঃখের শারীরিক প্রভাব
দুঃখ শুধুমাত্র মানসিক নয়, এটি আমাদের শরীরেও নানাভাবে প্রভাব ফেলে। যখন আমরা দুঃখিত থাকি, তখন শরীর স্ট্রেস হরমোন যেমন কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ করে। এর ফলে:
* ঘুমের ব্যাঘাত: নিদ্রাহীনতা বা অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে।
* খাবারের রুচিতে পরিবর্তন: অতিরিক্ত খাওয়া বা একেবারেই খেতে না চাওয়া।
* শারীরিক ব্যথা: মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, বা পেটের সমস্যা হতে পারে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: দুঃখ দীর্ঘস্থায়ী হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজে অসুস্থ হওয়া যায়।
* ক্লান্তি: ক্রমাগত অবসাদ এবং শক্তির অভাব।
এগুলো সবই দুঃখের স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া। নিজের শরীরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং প্রয়োজনে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
দুঃখ এবং স্মরণশক্তি
দুঃখ আমাদের স্মৃতি এবং উপলব্ধিকেও প্রভাবিত করে। দুঃখের সময়ে আমরা অনেক সময় অতীতকে রোমন্থন করি, যা দুঃখকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। একই সাথে, দুঃখ আমাদের মনোযোগ এবং একাগ্রতাকেও কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে নতুন কিছু শিখতে বা দৈনন্দিন কাজকর্মে মনোযোগ দিতে সমস্যা হতে পারে।
তবে, দুঃখের মধ্য দিয়ে আমরা জীবনের কিছু গভীর সত্য উপলব্ধি করতে পারি। এই সময়ে আমরা নিজেদের মূল্যবোধ, সম্পর্ক এবং জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবতে বাধ্য হই। অনেক সময় দুঃখ আমাদের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলে এবং আমরা এমন সব বিষয় বুঝতে পারি যা আগে কখনো খেয়াল করিনি।
দুঃখ প্রকাশের ভিন্নতা
প্রত্যেক মানুষ দুঃখকে ভিন্নভাবে প্রকাশ করে এবং মোকাবিলা করে। এর কিছু কারণ হলো:
* ব্যক্তিত্ব: অন্তর্মুখী মানুষরা দুঃখ পেলে একা থাকতে পছন্দ করতে পারে, যেখানে বহির্মুখী মানুষরা অন্যদের সাথে নিজেদের অনুভূতি ভাগ করে নিতে পারে।
* অতীতের অভিজ্ঞতা: অতীতে দুঃখের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে, তা বর্তমানের প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
* পারিবারিক শিক্ষা: পরিবারে দুঃখ প্রকাশকে কীভাবে দেখা হয়েছে, তাও একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
* সাংস্কৃতিক প্রত্যাশা: কিছু সংস্কৃতিতে দুঃখ প্রকাশকে আবেগপ্রবণ হিসেবে দেখা হয়, আবার কিছু সংস্কৃতিতে এটিকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।
দুঃখের এই ভিন্নতা বুঝতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা নিজেদের এবং অন্যদের দুঃখ প্রকাশের ধরণকে সম্মান করতে পারি।
দুঃখকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা
যদিও দুঃখ একটি কষ্টদায়ক অনুভূতি, এটি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দুঃখকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া বা দমন করার চেষ্টা করলে তা দীর্ঘমেয়াদে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। বরং, দুঃখকে গ্রহণ করে এর মধ্য দিয়ে যাওয়াটা এক ধরনের থেরাপিউটিক প্রক্রিয়া।
দুঃখ থেকে আমরা শিখি, বড় হই, এবং জীবনের প্রতি আরও কৃতজ্ঞ হতে শিখি। এটি আমাদের নিজেদের এবং অন্যদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করে। দুঃখের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আনন্দ এবং কষ্ট একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, এবং উভয়ই আমাদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে।
?

nu ·Vertalen

Finalisina












কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image