পাখি হলো এক অসাধারণ প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় ১০,০০০ প্রজাতির পাখি আছে, আর তাদের বৈচিত্র্য দেখলে অবাক হতে হয়।
পাখিদের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো:
* ডানা ও উড়ার ক্ষমতা: বেশিরভাগ পাখিরই ডানা আছে এবং তারা উড়তে পারে, যদিও কিছু পাখি উড়তে পারে না, যেমন—পেঙ্গুইন বা উটপাখি।
* পালক: পাখিদের শরীর পালকে ঢাকা থাকে, যা তাদের উষ্ণ রাখে এবং উড়তে সাহায্য করে। পালকের রঙ ও নকশা বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে ভিন্ন হয়।
* হালকা ও মজবুত হাড়: তাদের হাড়গুলো হালকা কিন্তু মজবুত হয়, যা তাদের উড়ার জন্য অনুকূল।
* ঠোঁট: পাখিদের দাঁত নেই, তাদের ঠোঁট আছে যা খাবার ধরতে এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। ঠোঁটের আকার তাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে।
* ডিম পাড়া: পাখিরা ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়।
পাখিদের কিছু মজার তথ্য
* পরিযায়ী পাখি: অনেক পাখি শীতকালে উষ্ণতার খোঁজে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে চলে যায়। এদেরকে পরিযায়ী পাখি বলে। যেমন—বাংলাদেশের অনেক হাওর ও বিলে শীতকালে পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে।
* গানের পাখি: অনেক পাখি খুব সুন্দর গান গাইতে পারে, যেমন—কোকিল, বুলবুলি। এরা তাদের ডাকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।
* বাসা তৈরি: পাখিরা বাসা তৈরি করে ডিম পাড়ার জন্য এবং বাচ্চাদের লালন-পালনের জন্য। প্রতিটি প্রজাতির পাখির বাসা তৈরির কৌশল আলাদা হয়।
* পরিবেশের ভারসাম্য: পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা পরাগায়নে সাহায্য করে, পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উপকার করে এবং বীজ বিস্তারেও সাহায্য করে।
পাখিরা প্রকৃতির এক অনবদ্য সৃষ্টি। তাদের পর্যবেক্ষণ করা খুবই আনন্দদায়ক