9 w ·Traducciones

মেঘ আর সূর্যের মজার গল্প

এক সময় এক বিশাল আকাশে বাস করত মেঘ আর সূর্য। তারা ছিল আকাশের দুই প্রধান শক্তি। মেঘ সবসময় গর্জন করত, বৃষ্টি দিত আর কখনো কখনো ছায়া দিয়ে মানুষকে আরাম দিত। সূর্য ছিল উজ্জ্বল, গরম আর আলোর উৎস।

মেঘ একদিন সূর্যের কাছে গর্ব করে বলল, “তুমি যতই উজ্জ্বল হও, মানুষ আমার ছায়া আর বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে। আমি যদি না আসি, তারা কি করবে?”

সূর্য হেসে বলল, “তুমি না থাকলে আমি তো উজ্জ্বলই থাকব, কিন্তু মেঘের ছায়া আর বৃষ্টি ছাড়া জীবন নিস্তেজ হবে। তোমার কাজও অতি গুরুত্বপূর্ণ।”

তারা অনেক সময় আকাশে যুদ্ধে মেতে উঠত। মেঘ বেশি গর্জন করে ঝড় তুলত, আর সূর্য তার রশ্মি দিয়ে মেঘকে পিছনে ঠেলে দিত। কখনো কখনো মেঘ এতটাই ঘন হয়ে যেত যে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারত না।

একদিন গ্রামের মানুষ একসঙ্গে বলল, “আমাদের বৃষ্টি আর রোদ দুটোই দরকার। যদি বৃষ্টি না থাকে, ফসল ঝরে যাবে, আর যদি রোদ না থাকে, গাছেরা বড়ো হবে না।”

মেঘ আর সূর্য তখন বুঝল, তারা আলাদা হলেও একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবী সুন্দর হয়। তারা সিদ্ধান্ত নিল একসঙ্গে থাকতে হবে, পরস্পরের কাজকে সম্মান করতে হবে।

এরপর থেকে মেঘ আর সূর্য মিলে একসঙ্গে আকাশ সাজাতো। বৃষ্টি হলেই সূর্যের রশ্মি মেঘের ফাঁকে পড়ে, তখনই আকাশে ঝলমল এক সুন্দর রঙের ধনু তৈরি হত—ইলোমেলো রঙের রোদের ঝলক।

গ্রামের মানুষ তা দেখে আনন্দ করত আর ভাবত প্রকৃতির এই সৌন্দর্য কতই না অদ্ভুত আর সুন্দর।

এই গল্প থেকে শেখা যায়, পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতাই প্রকৃত বন্ধুত্ব ও সাফল্যের চাবিকাঠি।


#sifat10