কোথায়?'
মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি না মানে? তোকে টাকা দিয়ে কিনেছি, মাগি। রোগড়া বুঝিস, রোগড়া?"
রোগড়া শব্দটা সরাসরি বুঝতে না পারলেও মহিলাটার আচরণ ও ইশারা দেখে সামিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল। এতক্ষণে সে বুঝতে পেরেছে, সে বিক্রি হয়ে গেছে। ঠকে গেছে। এত গভীর ভালোবাসা তার, অন্ধ ভালোবাসা! রাহুল কি সত্যিই তাকে বিক্রি করে দিয়েছে? বিশ্বাস করতে পারছে না যেন। যার হাত ধরে বাবা-মার কথা চিন্তা না করে, তাদের না জানিয়ে নিজের জন্মভূমি, আপন দেশ ছেড়ে এক কথায় এখানে এসেছে। সে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। কীভাবে পারল রাহুল তার এমন অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসাকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে? কান্নায় বুক ভেঙে আসছে তার। কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে দুঃখাশ্রু।
samip848
পাঁচ।
সামিয়া ব্যাগ গুছিয়ে আকাশের দিয়ে তাকিয়ে আছে। তার মায়া হচ্ছে। এ দেশ তার জন্মভূমি। একটু সুখের জন্য, ভালোবাসার জন্য ছেড়ে যাবে। শেষবারের মতো যেন দেখে নিচ্ছে। এমন সময় রাহুল রুমে প্রবেশ করল। সামিয়ার কাঁধে হাত রেখে বলল- 'এত চিন্তা কীসের? আমি যাচ্ছি তো সঙ্গে।'
সামিয়া পাশ ফিরে জড়িয়ে ধরে রাহুলকে। তার চোখে পানি চলে আসে। ধরে আসা গলায় রাহুলকে জিজ্ঞেস করে 'এভাবে ভালোবাসবে তো সব সময়?
রাহুল অভয় দেয় সামিয়াকে। সারা জীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি। সামিয়া বিনা বাক্যব্যায়ে মেনে নেয়। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নেয় রাহুলের সকল প্রতিশ্রুতি।
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Tajrin Nesa
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?