কোথায়?'
মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি না মানে? তোকে টাকা দিয়ে কিনেছি, মাগি। রোগড়া বুঝিস, রোগড়া?"
রোগড়া শব্দটা সরাসরি বুঝতে না পারলেও মহিলাটার আচরণ ও ইশারা দেখে সামিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল। এতক্ষণে সে বুঝতে পেরেছে, সে বিক্রি হয়ে গেছে। ঠকে গেছে। এত গভীর ভালোবাসা তার, অন্ধ ভালোবাসা! রাহুল কি সত্যিই তাকে বিক্রি করে দিয়েছে? বিশ্বাস করতে পারছে না যেন। যার হাত ধরে বাবা-মার কথা চিন্তা না করে, তাদের না জানিয়ে নিজের জন্মভূমি, আপন দেশ ছেড়ে এক কথায় এখানে এসেছে। সে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। কীভাবে পারল রাহুল তার এমন অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসাকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে? কান্নায় বুক ভেঙে আসছে তার। কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে দুঃখাশ্রু।
samip848
সামিয়া আদ্ভুত কণ্ঠে জবাব দিল 'উঁচু। ইচ্ছে করছে না উঠতে।'
: 'কেন ইচ্ছে করছে নাঃ ফজর তো হয়ে এলো।'
: 'এমনিই উঠতে ইচ্ছে করছে না। ভালো লাগছে না।
রাফান একের পর এক কথার দান ছুড়ে দেয় সামিয়ার প্রতি। বলে ওঠেন। আমি দুআ বলে দিচ্ছি আপনাকে 'আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা'দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।'
রাফান ছেলেটা এত সুন্দর করে দৈনন্দিনের আমলের ছোটো ছোটো দুআগুলো পাঠ করে, সামিয়া নিজেও পারে না। একদম সহিহ-শুদ্য, নির্ভুল। উচ্চারণ। অথচ তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই এই ছেলেটা এত সুন্দর করে প্রত্যেকটা কাজের ও দরকারি দুআগুলো মুখস্ত বলতে পারে। শুধু যে দুআ, তাই নয়। তার কুরআন তিলাওয়াতও সামিয়ার কাছে অপূর্ব মনে হয়।
পরিচয় হওয়ার পর রাফানের সঙ্গে সামিয়ার দু-তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে। শেষবার যখন দেখা হয়, তখন মূলত ঘুরতে গিয়েছিল দুজন। বাসা থেকে
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?