বাহুল চলে যাওয়ার পর যে মহিলা তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে, মহিলাটার ব্যবহার কোনো শয়তানের চেয়ে কম নয়। এখানে এসে সামিয়া বুঝতে পেরেছে, সে আর কোথাও নয়, এই অচেনা শহরের কোনো এক নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রী হয়েছে। এ যেন আরেক জাহান্নাম। প্রতিটা রাত, প্রতিটা দিন সে যেন জাহান্নামের আগুনে পুড়েছে। এই নিষ্ঠুর জগতে যেন তার আর্তনাদ শোনার কেউ নেই। তার কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়া অশ্রু দেখার কেউ নেই। যখনই সে নিষিদ্ধ কাজে অস্বীকৃতি জানায়, মহিলাটা তাকে প্রচুর মারধর করে। মারধরের সময়টায় লাউড স্পিকারে বাজতে থাকে কোনো বীভৎষ গান। নাপাক বীভৎষ গানের সুরে মিলিয়ে যায় সামিয়ার করুণ আহাজারি। কেউ শোনে না। কেউ শুনতে পায় না সামিয়ার গলা ফাটানো চিৎকার।...
Beğen
Yorum Yap
Paylaş
hanif ahmed Romeo
জীবন আমার জড়িয়ে দিয়েছি,
তোমার সাথে প্রিয়।
আমায় তুমি ভালবেসে,
আপন করে নিও।
💟💟─༅༎•🍀🌷
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?
samip848
দুই।
ভোর সাড়ে চারটায় কেউ বারংবার কল করতে থাকলে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কথা। সামিয়ার বিগড়াল না। রাফান কল করেছে। ছেলেটার সঙ্গে ইদানীং সামিয়ার অনেক কথা হয়। ধীরে ধীরে দুজনের মাঝে একটা সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গেছে। বেশ কেয়ারিং ছেলেটা। সব সময় সামিয়ার খোঁজ-খবর নেয়। খেয়েছে কি না, কোথাও যাচ্ছে কি না, মন ভালো কি না। এমনকি ধর্মীয় বিষয়-আশয়েও। নামাজ পড়েছ কি না। না পড়লে জবাবদিহিতা করা এবং পড়ার জন্য জোর করা। জোরাজুরিতে মানুষের মাঝে একধরনের বিরক্তি তৈরি হয়। কিন্তু সামিয়ার বিরক্তিবোধ হয় না। রাফানের এইসব শাসন তার ভালো লাগে। শুধু ভালোই না, একধরনের অভ্যস্ততার ভেতর আটকা পড়ছে সে।
আজও ভোর না হতেই রাফান কল করেছে। রাতের ঘুম তেমন ভালো হয় নি সামিয়ার। শেষ রাতের দিকে যাও একটু চোখ বুজে এসেছিল, রাফানের কলে তাও উবে গেছে। তবুও বিরক্ত হচ্ছে না সে। ওপরন্তু রাফানের কল সে এতই আগ্রহ নিয়ে রিসিভ করল, যেন তার কলেরই অপেক্ষা করছিল সামিয়া। খুবই শুনতে ইচ্ছে করছিল রাফানের কণ্ঠ। কী মধুর ঠেকে তার কাছে।
রাফান রঙচঙ মাখিয়ে খুবই মিষ্টি কণ্ঠে সামিয়াকে জিজ্ঞেস করল- 'এই যে
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?