9 di ·Menerjemahkan

চতুর কুমির আর বুদ্ধিমান মৎস্যজীবী

এক গ্রীষ্মকালীন বিকেলে, নদীর পাড়ে বসেছিল এক মৎস্যজীবী, নাম তার বাবুল। বাবুল ছিল খুবই বুদ্ধিমান ও ধৈর্যশীল মানুষ। সে প্রতিদিন নদীতে মাছ ধরত, কিন্তু আজকের দিনটা একটু ভিন্ন ছিল।

নদীর গভীরে বাস করত এক চতুর কুমির, যার নাম ছিল কুমুতি। সে খুব চতুর আর চালাক ছিল, মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি জানত।

কুমুতি প্রায়শই নদীর মাছ ধরে খেতে চাইত, কিন্তু বাবুলের জাল কেটে ফেলত না। একদিন কুমিরটি বাবুলের কাছে গিয়ে বলল, “তুমি খুব চালাক, তোমার জাল আমার ধরতে পারে না।”

বাবুল হাসল আর বলল, “তুমি চালাক, কিন্তু আমি ধৈর্যশীল। ধৈর্য আর বুদ্ধি মিলেই জীবনে সাফল্য আনে।”

কুমুতি তখন বাবুলকে একটি চ্যালেঞ্জ দিল। “আমরা একসাথে নদীতে মাছ ধরব। তুমি তোমার পদ্ধতি, আমি আমার। দেখব কে বেশি মাছ পায়।”

তারা দুজনে আলাদা আলাদা জায়গায় গিয়ে মাছ ধরতে শুরু করল। বাবুল ধৈর্য ধরে জাল ফেলল, আর কুমুতি তার কৌশল ব্যবহার করল।

কিছুক্ষণ পর দেখা গেল, বাবুল অনেক মাছ ধরেছে কারণ সে ধৈর্য ধরে কাজ করেছে, আর কুমুতি কেবল সামান্য মাছ পেয়েছে।

বাবুল বলল, “দেখো, শুধু বুদ্ধি বা চালাকি যথেষ্ট নয়, ধৈর্য আর সময় দিয়ে কাজ করতে হয়।”

কুমুতি বুঝল যে জীবনে ধৈর্য আর বুদ্ধি দুটোর সমন্বয় অপরিহার্য।

এই গল্প থেকে শেখা যায়, সফলতা আসে ধৈর্যের সঙ্গে বুদ্ধির মিশেলে।


#sifat10