সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এতদিনে রাফানের সঙ্গে সামিয়ার বোঝাপড়া হয়ে গেছে। আগামী মাসের শুরুতে দুজন পালিয়ে যাবে।
: কোথায় যাবে?
: ইন্ডিয়া।
রাফান ঠিক করেছে ইন্ডিয়া যাবে। সেখানে নাকি তার বহু আছে। সে তাকে সহজে ইন্ডিয়ায় ঢোকার ব্যবস্থা করে দেবে এবং চলার মতো একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে। সেখানে তাদের কেউ পুরোনো পরিচয়ে চিনবে না। চিনবে নতুন পরিচয়ে। মুসলিম পরিচয়ে। সামিয়া রাজি হয়ে যায়। রাফানকে সে প্রচণ্ড রকম ভালোবেসে ফেলেছে। তার মনে বার বার একটা কথা উকি দেয়, রাফানকে ছাড়া সে বাঁচবে না। সে কি কালো জাদুতে আক্রান্ত? কার কাছে যেন বলতে শুনেছিল কালো জাদুতে আক্রান্ত হলে মানুষ এমন হয়। সামিয়া বিশ্বাস করে না। তার ধারণা কালো জাদু বলে কিছু নেই। রাফান তাকে ভালোবেসে, সেও বাফানকে প্রচণ্ড রকম ভালোবাসে এবং ভালোবাসা থেকেই তাদের এই পরিবার-পরিজন ত্যাগ করার মতো কঠিনসামিয়া জিজ্ঞেস করে- 'তাহলে তোমার মুসলিম হওয়ার প্রমাণ কোথায়?'
রাফান বলে- 'মুসলিম হয়েছি জানলে আমাকে মেরে ফেলবে। তাই ওইভাবে এখনো কোনো প্রমাণ রাখা হয় নি। তবে শীঘ্রই সব হবে। আমি তোমাকে একদম মন থেকে ভালোবাসি, সামিয়া।"
সামিয়া জানতে পারে রাফানের আসল পরিচয়। রাহুল কৃষ্ণ দাস। যদিও রাফান ওরফে রাহুল এই প্রতারণার পর সামিয়ার কাছে প্রথম প্রথম সবই ফ্রড মনে হয়, তবুও রাহুল তাকে ছলেবলে কৌশলে মানিয়ে নেয়। রাহুল সামিয়াকে বোঝায়-শীঘ্রই তারা দূরে কোথাও চলে যাবে। যেখানে কেউ তাদের চিনবে না। কোনো বাঁধা থাকবে না রাহুল থেকে রাফান হয়ে যাওয়ায়। রাহুলের প্রেমে অন্ধ সামিয়া সবকিছু মেনে নেয়। এরপর আরও দুইবার তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সামিয়া রাহুলের সবকিছুই মেনে নেয়। তার নামও। রাহুল কৃষ্ণ দাস নয়, এখনো তার কাছে রাফানই। তার ধারণা মানুষের কাছে রাহুলের রাফান বলে পরিচয় দেওয়া এখন কেবল