9 میں ·ترجمہ کریں۔

দুআ, তাই নয়। তার কুরআন তিলাওয়াতও সামিয়ার কাছে অপূর্ব মনে হয়।

পরিচয় হওয়ার পর রাফানের সঙ্গে সামিয়ার দু-তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে। শেষবার যখন দেখা হয়, তখন মূলত ঘুরতে গিয়েছিল দুজন। বাসা থেকে কাছেই। ঠিক পার্ক বলা যায় না। তবুও শহরের ব্যস্ত মানুষেরা দিনশেষে মন-মেজাজ ফুরফুরে করতে এ-দিকে একটু চু দেয় কখনো কখনো। সামিয়া। এসেছে রাফানের সঙ্গো। এই প্রথম। এখানে এসে সামিয়ার সবচেয়ে বিরক্তিকর যা ঠেকল তা হলো ভিক্ষুকের উৎপাত। দিনদিন যেন ভিক্ষুকের। সংখ্যা বাড়ছে। মুহূর্তেই কয়েকজন এসে উপস্থিত হয়। নানান আশা ও অসহায়ত্বের বাণী শোনায়। সামিয়ার বিরক্ত লাগে। এতসব বিরক্তির মাঝেও যা সামিয়াকে মুগ্ধ করে, তা হলো রাফানের দানের হাত। কোনো ফকিরের প্রতিই সে চড়াও হয় না, বিরক্ত হয় না। কাউকে খালি হাতে ফেরায় না।

একবার এক ছেলে এসে বলল- 'ভাইয়া ভাইয়া, আমি হারাদিন কিছু খাই নাই। আমারে দশটা টেহা দিবেন?"

ছেলেটার গায়ে কোনো জামা নেই। পরনে একটা রঙজলা হাফপ্যান্ট। রাফান ছেলেটাকে নিয়ে দোকানে গেল। সঙ্গে সামিয়াও। রাফান পকেটে হাত দিয়ে দেখল মাত্র দুইশ' টাকা আছে। এই দুশো টাকায় তেমন কিছুই হবে না। সে একশো টাকা দিয়ে ছেলেটাকে একটা টিশার্ট কিনে দিল এবং পঞ্চাশম্যাডাম, আপনার ঘুম কি ভেঙেছে?'

সামিয়া আদ্ভুত কণ্ঠে জবাব দিল 'উঁচু। ইচ্ছে করছে না উঠতে।'

: 'কেন ইচ্ছে করছে নাঃ ফজর তো হয়ে এলো।'

: 'এমনিই উঠতে ইচ্ছে করছে না। ভালো লাগছে না।

রাফান একের পর এক কথার দান ছুড়ে দেয় সামিয়ার প্রতি। বলে ওঠেন। আমি দুআ বলে দিচ্ছি আপনাকে 'আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা'দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।'

রাফান ছেলেটা এত সুন্দর করে দৈনন্দিনের আমলের ছোটো ছোটো দুআগুলো পাঠ করে, সামিয়া নিজেও পারে না। একদম সহিহ-শুদ্য, নির্ভুল। উচ্চারণ। অথচ তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই এই ছেলেটা এত সুন্দর করে প্রত্যেকটা কাজের ও দরকারি দুআগুলো মুখস্ত বলতে পারে। শুধু যে দুআ, তাই নয়। তার কুরআন তিলাওয়াতও সামিয়ার কাছে অপূর্ব মনে হয়।

পরিচয় হওয়ার পর রাফানের সঙ্গে সামিয়ার দু-তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে। শেষবার যখন দেখা হয়, তখন মূলত ঘুরতে গিয়েছিল দুজন। বাসা থেকেটাকা দিয়ে দিল খাবারের ন্য। সামিয়া মুশ হয়ে তারিয়ে পারদ নতুন টিশার্ট পাওয়া ছেলেটার মুখের হাসির দিকে। তারমেয়েও মনির চুল হাসেল রাফানের মানবতাবোধে।

রাফানের দুআ পাঠ, কুরআন তিলাওয়াত ও মানবভাগোন দেখে সামিয়া। নতুন করে মুখ হতে শুরু করেছে। রাফানের কাছে সুখ পাঠ ও কুরমান তিলাওয়াত নতুন করে শিখতে ইচ্ছে করছে তার। এটা কি আসনে জ্বীনে ফেরা? না রাফানের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া? সামিয়া ধরতে পারছে না। রাফানের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ারই প্রভাব হতে পারে।

তিন।

ইদানীং সামিয়ার একটা রোগ হয়েছে। হঠাৎ হঠাৎ রাতের বেলা চিৎকার করে কান্নাকাটি করা। এটার নির্দিষ্ট কোনো রোগ সে বুঝতে পারে না। সারাক্ষণ রাফানের সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে করে তার। কখনো কখনো এমন হয়, যখন তার রাফানের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে অথচ রাফানের মোবাইল বন্ধ পায়, তখন সে নিজেকে সামলাতে পারে না। কেমন যেন পাগল পাগল লাগে তার। তখন কেবল রাফানকেই চাই তার। রাফানের সঙ্গেই যেন তার থাকার কথা ছিল। এ ধরনের অসুস্থতাকে আসলে কী নাম দেওয়া যায়, তা সামিয়ারকাছে বিপদজনক হয়ে উঠছে। দ্রুত এই শখর দেছে চলে সাদা বলার। অবশ্য রাফান তাকে এ-ব্যাপারে আগে থেকেই বলছে। সেই কথা একরকম জোরাজুরি পর্যায়ের ছিল। কিন্তু সে রাফানের প্রভাবে রাত্রি যা নিংকারণ, রাংগন তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যেনতেন প্রতারণা না, অনন্য প্রতমের প্রতারণা।

রিলেশনের একপর্যায়ে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়। যদিও সামিয়া এ-ব্যাপারে কঠোর ছিল। তবুও রাফানের প্রতি মাত্রাহীন আবেগ ভালোবাসা আর রাফানের শক্তির সামনে টিকতে পারে নি। শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে সামিয়া বুঝতে পারে, রাফানের শিশ্বের গোলাকার অগ্রভাগ চামড়ায় ঢাকা। খতনা। খতনাকে মেডিক্যাল টার্মে বলে সারকামসিশন। রাফানের খতনা। করানো হয় নি। সামিয়া রাফানকে ধাক্কা দিয়ে একপাশে সরে যায়। যদিও। ততক্ষণে তার যা হওয়ার হয়ে গেছে। সামিয়া সন্ত্রস্ত গলায় রাফানকে জিজ্ঞেস করে 'সত্যি করে বলো, তোমার পরিচয় কী? তুমি আমাকে নন্ট করার জন্যই নিজের পরিচয় গোপন করেছা'

রাফান সামিয়াকে খুবই ঠান্ডা মাথায় বোঝায়। জবাব দেয়- 'বিশ্বাস করো, আমি মুসলিম হয়েছি। এখনো খতনা করানো হয় নি। দ্রুতই করিয়ে ফেলব।'

সামিয়া জিজ্ঞেস করে- 'তাহলে তোমার মুসলিম হওয়ার প্রমাণ কোথায়?'