9 di ·Menerjemahkan

তারা। এটা রাহুলের বন্দুর বাসা। ভাড়া থাকে নাকি নিজস্ত, তা লামিয়ার জন্য নেই। ভাড়াই হবে হয়তো। সে যাই হোক, প্রাধ্যম দেখায় সোকাটাকে খুব চতুর মনে হয়েছে সামিয়ার। খোঁচা খোঁচা দাড়ি। উদ্কমুক্ত চুল। সামির বিছানায় বসে থাকতে পারছে না। রুমের ভেতর পায়চারি করছে। যদিও বুমটা খুব বড়ো নয়। রাহুলের জন্য মন কেমন করছে তার। রাহুল সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে। তাদের নতুন পরিচয়ের কাগজপত্র ঠিক করতে। কাগজপত্র তাড়া নাকি চলাফেরা করা ঝামেলা। সেই যে কখন বের হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে গেছে অথচ রাহুলের ফেরার নাম নেই। সামিয়ার চিন্তা হচ্ছে)

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যামুঠো বিজ্ঞাতা তলিয়ে যায় ভাবনার গহ্বরে।

দুই।

ভোর সাড়ে চারটায় কেউ বারংবার কল করতে থাকলে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কথা। সামিয়ার বিগড়াল না। রাফান কল করেছে। ছেলেটার সঙ্গে ইদানীং সামিয়ার অনেক কথা হয়। ধীরে ধীরে দুজনের মাঝে একটা সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গেছে। বেশ কেয়ারিং ছেলেটা। সব সময় সামিয়ার খোঁজ-খবর নেয়। খেয়েছে কি না, কোথাও যাচ্ছে কি না, মন ভালো কি না। এমনকি ধর্মীয় বিষয়-আশয়েও। নামাজ পড়েছ কি না। না পড়লে জবাবদিহিতা করা এবং পড়ার জন্য জোর করা। জোরাজুরিতে মানুষের মাঝে একধরনের বিরক্তি তৈরি হয়। কিন্তু সামিয়ার বিরক্তিবোধ হয় না। রাফানের এইসব শাসন তার ভালো লাগে। শুধু ভালোই না, একধরনের অভ্যস্ততার ভেতর আটকা পড়ছে সে।

আজও ভোর না হতেই রাফান কল করেছে। রাতের ঘুম তেমন ভালো হয় নি সামিয়ার। শেষ রাতের দিকে যাও একটু চোখ বুজে এসেছিল, রাফানের কলে তাও উবে গেছে। তবুও বিরক্ত হচ্ছে না সে। ওপরন্তু রাফানের কল সে এতই আগ্রহ নিয়ে রিসিভ করল, যেন তার কলেরই অপেক্ষা করছিল সামিয়া। খুবই শুনতে ইচ্ছে করছিল রাফানের কণ্ঠ। কী মধুর ঠেকে তার কাছে।

রাফান রঙচঙ মাখিয়ে খুবই মিষ্টি কণ্ঠে সামিয়াকে জিজ্ঞেস করল- 'এই যেবিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে সামিয়ার নতুন শহরে। এখনো ফেরে নি রাহুল। তাদের নতুন পরিচয় নিয়ে। একজন মহিলা এসেছে। একটা গাড়ি নিয়ে। সামিয়ার রুমে ঢুকে মহিলাটা সামিয়াকে বলল-"চল।"

সামিয়া বুঝতে পারছে না মহিলাটা তাকে কোথায় যাওয়ার কথা বলছে। সামিয়া জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাব। আপনি কে?"

মহিলাটা খুবই কর্কশ গলায় বলল- 'আমার সঙ্গে যাবি। আমি কে তা জেনে তোর কী কাজ?”

সামিয়া ক্রন্ত গলায় বলে- 'রাহুলকে ছাড়া আমি কোথাও যাব না। রাহুল কোথায়?'

মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি নাম্যাডাম, আপনার ঘুম কি ভেঙেছে?'

সামিয়া আদ্ভুত কণ্ঠে জবাব দিল 'উঁচু। ইচ্ছে করছে না উঠতে।'

: 'কেন ইচ্ছে করছে নাঃ ফজর তো হয়ে এলো।'

: 'এমনিই উঠতে ইচ্ছে করছে না। ভালো লাগছে না।

রাফান একের পর এক কথার দান ছুড়ে দেয় সামিয়ার প্রতি। বলে ওঠেন। আমি দুআ বলে দিচ্ছি আপনাকে 'আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা'দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।'

রাফান ছেলেটা এত সুন্দর করে দৈনন্দিনের আমলের ছোটো ছোটো দুআগুলো পাঠ করে, সামিয়া নিজেও পারে না। একদম সহিহ-শুদ্য, নির্ভুল। উচ্চারণ। অথচ তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই এই ছেলেটা এত সুন্দর করে প্রত্যেকটা কাজের ও দরকারি দুআগুলো মুখস্ত বলতে পারে। শুধু যে দুআ, তাই নয়। তার কুরআন তিলাওয়াতও সামিয়ার কাছে অপূর্ব মনে হয়।

পরিচয় হওয়ার পর রাফানের সঙ্গে সামিয়ার দু-তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে। শেষবার যখন দেখা হয়, তখন মূলত ঘুরতে গিয়েছিল দুজন। বাসা থেকে