9 w ·Traduire

পাগলা কুমির আর চালাক রাখাল

এক গ্রামে ছিলো এক রাখাল, নাম তার কাশেম। বুদ্ধিতে সে ছিলো অতিশয় চতুর। প্রতিদিন গরু চরাতে যেতো নদীর ধারে। সেই নদীতে থাকতো এক পাগলা কুমির, যার নাম ছিলো গদাধর। গদাধর ছিলো একদম ভিন্ন ধাঁচের—সে মানুষ খেতে চায় না, সে চায় মানুষের বুদ্ধি খেতে!

একদিন, কাশেম গরু চরাচ্ছে এমন সময় কুমির উঠে এলো পানির উপর। গদাধর বললো, “ওরে রাখাল, তোর বুদ্ধি আমি খাইব!”
কাশেম একটু অবাক হলেও ভয় পেলো না। সে বললো, “ঠিক আছে, কিন্তু খাওয়ার আগে তো পরীক্ষা নিতে হবে, আমি সত্যিই বুদ্ধিমান কিনা।”
গদাধর মুচকি হেসে বললো, “বেশ, বল কী পরীক্ষা দিবি?”

কাশেম বললো, “আমি তিনটা ধাঁধা দেবো। যদি তুমি একটাও না পারো, তাহলে তুমি নদীতে ফিরে যাবা এবং আর কখনো মানুষকে ভয় দেখাবা না।”
গদাধর রাজি হলো।

কাশেম ধাঁধা দিলো:
“পেট আছে, মাথা নেই, চলে কিন্তু হাঁটে না—এটা কী?”
গদাধর ভেবে বললো, “হাঁস?”
কাশেম হাসলো, “না, এটা হলো ‘নৌকা।’”

দ্বিতীয় ধাঁধা:
“রাতে থাকে, দিনে পালায়, হাতে ধরা যায় না—কে সে?”
গদাধর চিন্তা করে বললো, “স্বপ্ন!”
কাশেম চমকে গেলো। “ঠিক বলেছো!”

তৃতীয় ধাঁধা দিলো:
“একটাই মুখ, হাজার কথা বলে; তবু মুখ খুলে না—কে সে?”
গদাধর অনেকক্ষণ ভেবে মাথা চুলকাতে লাগলো। শেষে সে বললো, “আমি জানি না!”
কাশেম বললো, “উত্তর—‘রেডিও।’”

শর্ত মতো গদাধর নদীতে ফিরে গেলো, আর কখনো কাউকে ভয় দেখালো না। আর কাশেম? সে হয়ে উঠলো গ্রামের হিরো—রাখাল হলেও বুদ্ধিতে রাজা!

এই কিস্সা শেখায়—শক্তির থেকেও বড় শক্তি হচ্ছে বুদ্ধি।



#sifat10