9 میں ·ترجمہ کریں۔

বাঘের বুদ্ধি আর চাষার চালাকি

এক সময়ের কথা, এক গ্রামে ছিলো এক দরিদ্র চাষা, নাম তার দুলাল। প্রতিদিন সকালে সে মাঠে যেতো চাষ করতে। একদিন সে মাঠে হাল চাষ করছিল, হঠাৎ এক বাঘ এসে হাজির! চোখ রাঙিয়ে বললো, “এই চাষা! তোর গরু খাবো, তারপর তোকে।”

চাষা কাঁপতে কাঁপতে বললো, “বাঘ মশাই, গরু তো খাবেন, আমাকেও খাবেন—তাতে তো আপনার লাভ কিছু নেই! বরং একটা কথা বলি, আপনি যদি শুনেন, তাহলে লাভ আপনিই করবেন।”

বাঘ বললো, “তা কী কথা?”
চাষা বললো, “আমি এক ধরণের জিন বানাতে পারি, যেটা পাহারা দেবে আপনাকে। তখন জঙ্গলের আর কোন প্রাণী আপনার সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”

বাঘ বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “সে কীভাবে?”
চাষা বললো, “আমার ঘরে চলুন, আমি আপনাকে সেই জিন বানানোর রহস্য দেখাই।”

বাঘ কিছুটা সন্দেহ করলেও রাজি হলো। চাষা চালাক! সে আগে থেকেই জানতো তার গোয়ালঘরে বড় এক লোহার খাঁচা পড়ে আছে। সে বাঘকে নিয়ে গেলো, আর বললো, “এই খাঁচার ভেতরে ঢুকলেই জিন রূপে রূপান্তর শুরু হবে। একবার ঢুকেই দেখুন!”

বাঘ কিছু না ভেবে ঢুকে পড়লো খাঁচায়। চাষা সাথে সাথেই দরজা আটকে দিলো আর তালা দিলো ঝনঝনিয়ে। বাঘ চেঁচাতে লাগলো, “এ কী করলি রে!”
চাষা হেসে বললো, “এটাই আমার জিন—তুই এখন লোকের দেখার বস্তু, আর আমি গরু বাঁচিয়ে হিরো!”

গ্রামের লোকজন এসে বাঘ দেখে চমকে গেলো, আর চাষার বুদ্ধি দেখে বাহবা দিলো। বাঘ রইলো খাঁচায়, আর দুলাল হলো বুদ্ধির জয়গান গাওয়া চাষা।

এই কিস্সা শেখায়—চালাকির সাথে সাহস থাকলে, বাঘও খাঁচায় ধরা পড়ে!


#sifat10