9 ث ·ترجم

ধনী বৃদ্ধ আর তার শেষ ইচ্ছা

এক গ্রামে বাস করত এক ধনী বৃদ্ধ, নাম তার মীরাজ। জীবনে সে অনেক ধনসম্পদ অর্জন করেছিলো, কিন্তু কখনো সন্তুষ্ট ছিল না। তার একটা স্বপ্ন ছিল—মৃত্যুর আগে নিজের সম্পদের একটা অংশ গরীব দের মাঝে বিতরণ করা।

একদিন মীরাজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ল। সে ডাকল তার তিন সন্তানকে আর বলল, “আমার ধন-সম্পদ ভাগ করে নিতে হবে। কিন্তু তোমরা সবাইকে আমার শেষ ইচ্ছা মানতে হবে।”

সন্তানরা রাজি হলো। মীরাজ বলল, “আমি তিনটি পাত্রে এক-একটা টাকা দিবো। কিন্তু তোমাদের কাজ হলো, এই তিন পাত্রকে এমনভাবে ভাগ করা, যাতে প্রতিটা পাত্রে ঠিক সমান পরিমাণ টাকা হয়।”

সন্তানরা মাথা ঘামালো, কিন্তু বুঝতে পারল না। তারা ভাবলো, পাত্রগুলো ভিন্ন আকারের, তাই সঠিক ভাগ করা কঠিন।

সেখানে একজন বৃদ্ধ পরামর্শ দিলেন, “তিন পাত্র একসঙ্গে মিলিয়ে ভাগ করলে হয়তো সহজ হবে।”

সন্তানরা সব টাকাগুলো একত্র করলো, তারপর সঠিক সমান ভাগ করলো। সবাই পাত্রে টাকাগুলো ভাগাভাগি করল।

মীরাজ হাসলো, “এই ভাগাভাগির মধ্য দিয়েই জীবনের শিক্ষা আছে—যে ধন সবার মিলে বণ্টন করবে, তবেই সুখ আসবে।”

মীরাজ চলে গেলো শান্তিতে। তার সন্তানরা বুঝলো, টাকা আর সম্পদ নয়, মেলামেশা আর সবার সমান অধিকার জীবনের প্রকৃত ধন।

এই কিস্সা শেখায়—অসীম ধন থাকলেই সুখ হয় না, ভাগাভাগি আর সহমর্মিতা জীবনের আসল সম্পদ।


#sifat10