ছায়া যাকে ডাকে
রাত তখন প্রায় তিনটা। শহরের সবকিছু নিস্তব্ধ। বিদিশা লেখালেখির কাজে ব্যস্ত, পুরোনো এক বাংলোতে একা থাকে সে। সেদিন হঠাৎ করেই জানালার পর্দা নড়ে উঠল, অথচ বাতাস নেই।
"কে?" বিদিশা ধীরে জানালার দিকে এগিয়ে গেল। বাইরে কেউ নেই।
কিছুক্ষণ পর আবার শব্দ—এইবার দরজার ঠিক পেছন থেকে। ধপ ধপ… যেন কেউ হেঁটে বেড়াচ্ছে ঘরের ভেতরে।
বিদিশা সাহস করে ঘরের সব বাতি জ্বালিয়ে দিল। কেউ নেই। তারপর সে খেয়াল করল—তার লেখার টেবিলের ওপর পাতার ফাঁকে একটি বাক্য, যেটা সে লেখেনি—
"আমি এসেছি, যেমন তুমি চেয়েছিলে!"
বিদিশা স্তম্ভিত। কেউ কি তার লেখায় ঢুকে পড়েছে?
আগামী দিনগুলোতে সে লক্ষ্য করল, প্রতিটি রাতে কেউ একজন তার অসমাপ্ত গল্পের চরিত্র হয়ে উঠছে জীবন্ত। যারা এক এক করে তার সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে, চুপচাপ তাকিয়ে থাকে, আবার মিলিয়ে যায়।
শেষ রাতে সে লেখে—
"আমি তোমাকে ছুঁতে চাই।"
সেই রাতে প্রথমবারের মতো সে অনুভব করল, কারও ঠান্ডা হাত তার হাতে এসে লেগেছে।
ঘুম ভেঙে দেখল, ঘর খালি। কিন্তু তার ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা—
"তুমি ছুঁয়েছো, এবার আমিই লিখব গল্পটা।"
#sifat10
Nihamzggxg Fhgf
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?