চিঠির জবাব
রিমি ছোটবেলা থেকেই একা। মা-বাবা বাইরে থাকে, সে বাড়িতে দাদির সঙ্গে বড় হয়েছে। দাদি তাকে একটা আজব খেলার কথা বলেছিল—"চেয়ারের নিচে রেখে চিঠি লিখো অচেনা কাউকে, সে উত্তর দেবে।"
রিমি প্রথমে হেসেছিল, কিন্তু একদিন মজা করে লিখল—
“তুমি কে? তুমি কি আমায় দেখছো?”
পরদিন সকালে চেয়ারের নিচে আরেকটা চিঠি পাওয়া গেল—
“আমি সবসময় তোমার পাশেই থাকি।"
রিমি অবাক! কে লিখল এটা? বাড়িতে তো কেউ নেই।
সে আরও চিঠি লিখতে শুরু করল। প্রতিটি চিঠির উত্তর আসত, এবং উত্তরগুলো যেন তাকে খুব ভালো করে চেনে। তার পছন্দ-অপছন্দ, দুঃখ-ভয় সব জানে।
একদিন রিমি লিখল—
“তুমি কি বন্ধু হবে আমার?”
উত্তর এলো—
“আমি তো শুরু থেকেই তোমার বন্ধু, কিন্তু তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছিলে।”
রিমি অবাক হয়ে দাদির কাছে গেল। দাদি তখনো জেগে ছিল, বলল—
“ওই চিঠিগুলো তোর ছোটবেলার বন্ধু লিখত, যে পাঁচ বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় চলে গিয়েছিল। তুই প্রায়ই বলতিস, ওর ছায়াকে দেখিস।”
রিমির মনে পড়ল এক ঝলক স্মৃতি—একটা ছোট ছেলে, যার নাম ছিল নীল।
সেদিন রাতে, রিমি শেষ চিঠিতে লিখল—
“নীল, তুমি থাকো?”
উত্তরে শুধু একটা লাইন—
“আমি ছিলাম, আছি, থাকবো… যতক্ষণ তুমি লিখো।”
#sifat10
Ali Ahmod
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?
Aysha570
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?