নিশির ডাকঘর
গ্রামের প্রান্তে একটা পুরনো ডাকঘর আছে—অনেক বছর হলো বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামের লোকেরা বলে, রাত বারোটার পর যদি কেউ সেখানে চিঠি রেখে আসে, সেই চিঠির উত্তর আসে—যেখান থেকেই হোক না কেন।
রিনি একদিন মজা করে একটা চিঠি লিখল—
“আমার মা কোথায়? ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ কি জানে?”
চিঠিটা রেখে সে ফিরে এল। পরদিন ভোরে সে দেখতে পেল, তার দরজার নিচে ঢুকে আছে একটা খাম। খুলে দেখল—চেনা হস্তাক্ষরে লেখা:
“আমি এখন দূরে, কিন্তু প্রতিদিন তোমার চুলে হাত বুলিয়ে দিই ঘুমের আগে। তুমি টের পাও না, মা তো এমনই হয়।”
রিনি কেঁপে উঠল। এটা তার মায়ের হাতের লেখা, যেটা সে ছোটবেলায় দেখেছিল।
পরদিন আবার চিঠি লিখল—
“তুমি কি সত্যিই আমার পাশে থাকো?”
ফের উত্তর এল—
“তুমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাঁধো, আমি পাশে থাকি। তুমি যখন কাঁদো, আমি তোমার গাল মোছার জন্য বাতাস হয়ে যাই।”
রিনি আর কখনও নিশির ডাকঘর নিয়ে হাসাহাসি করেনি। মাঝে মাঝে সে সেখানে চিঠি রেখে আসে—
শুধু জানার জন্য,
মা এখনো পাশে আছেন কি না।
#sifat10
Ali Ahmod
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?
Aysha570
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?