8 w ·übersetzen

বুড়োর বাইসাইকেল বিপ্লব

গ্রামের এক কোণায় থাকতেন মজিদ বুড়ো। বয়স প্রায় আশি ছুঁইছুঁই, তবু চোখে চশমা ছাড়া সব দেখতে পান, কানে আওয়াজ পান না তেমন, আর হাঁটার গতি এত ধীর যে পাশে দিয়ে কচ্ছপ গেলেও হাই ফেলে।

একদিন হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে মজিদ বুড়ো ঘোষনা দিলেন, “আমি আবার বাইসাইকেল চালাবো।”
সবাই ভাবল, বুড়ো হয়ত হালকা রোদে দাঁত কাঁপানো কিছু বলেছে। কিন্তু না, পরদিন সকালে তিনি সত্যিই একটা পুরনো বাইসাইকেল নিয়ে উঠানে দাঁড়ালেন।

সাইকেলটা পঁচিশ বছর আগে তার ছেলের, জংধরা, টায়ার আধা ফাটা। বুড়ো নিজেই হাতুড়ি-পিটা করে রেডি করলেন। তখন গ্রামের ছেলেপেলেরা দৌড়ে এলো—“বুড়ো চাচা সাইকেল চালাবে!”

প্রথমদিন উঠতেই পারেননি। দ্বিতীয়দিন উঠেও দু’ফুট এগিয়ে পড়ে গেলেন। তৃতীয়দিন একটু দূর গড়ালেন। সাত দিনে পুরো গ্রামে চাঞ্চল্য—মজিদ বুড়ো সত্যি আবার চালাতে শিখে গেলেন!

বিকেলে যখন ধীরে ধীরে গ্রাম ঘুরে বেড়ান, তখন সবাই হাত নেড়ে সালাম দেয়। কেউ কেউ মজা করে বলে, “এইবার চাচার বাইসাইকেল ইউনিয়ন নির্বাচনে দাঁড়াবে।”

বুড়ো হেসে বলেন, “যতদিন হাত-পা চলে, ততদিন জীবনেও গতি থাকে।”

এরপর থেকেই গ্রামের অন্য বয়স্করাও উৎসাহ পেল। কেউ হাঁটা শুরু করল, কেউ লাঠি ফেলে দিল। আর বাচ্চারা এখন বলে, “বুড়ো চাচা হিরো!”

মজিদ বুড়োর বাইসাইকেল হয়ে উঠল একপ্রকার প্রতিরোধ—বয়সের বিরুদ্ধে, হাল ছেড়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে।

#sifat10