রান্নার রাজা রহিম
রহিম মিয়া একজন চা দোকানদার। দোকান ছোট, কিন্তু তার হাসি আর কড়া লাল চায়ের জন্য দূরের গ্রাম থেকেও লোক আসে। তবে রহিমের একটা গোপন শখ—সে রান্না করতে ভালোবাসে। ব্যাপারটা লুকিয়েই রাখে, কারণ গ্রামের লোকজন ভাবে, রান্না করা পুরুষদের কাজ না।
একদিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘোষণা দিলেন—“গ্রাম্য রান্নার প্রতিযোগিতা হবে, নারী-পুরুষ সবার জন্য উন্মুক্ত!”
রহিমের ভেতরের আগুন জ্বলে উঠল। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না। রাতে সে নিজের দোকানের পেছনে গোপনে রান্না করতে লাগল—মাটন খিচুড়ি, গরুর ভুনা, আর নারকেল দুধে পাটিসাপটা!
প্রতিযোগিতার দিন রহিম মুখে গামছা বেঁধে হাজির হল। নাম লিখল “রুহানা বেগম” নামে!
লোকে হাসাহাসি করে বলল, “এই নতুন আপা কে রে?”
রহিম মুখ ঢেকে রান্না করল, এমন স্বাদ, এমন ঘ্রাণ! বিচারকেরা তাজ্জব। শেষে যখন নাম ঘোষণা হলো—প্রথম পুরস্কার: রুহানা বেগম!
তখন রহিম গামছা খুলে বলল, “আমি রহিম, চা দোকানি। আমি রান্না ভালোবাসি। পুরুষ মানেই শুধু চা না, কড়াই-হাড়িও হতে পারে!”
সবার চক্ষু চড়কগাছ! তারপর শুরু হল হাততালি।
পরদিন গ্রামের সবচেয়ে বড় চায়ের দোকানের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলল—
“রহিমের রান্না ও রসনা”
মেয়েরাও বলে, “এইটা হইল আসল প্রতিযোগিতার জয়!”
#sifat10