8 C ·Traduzir

বুড়ো হাটের বিস্ময়

বাহাদুরপুর গ্রামের বুড়ো হাট এক আলাদা জায়গা। সেখানে মিলত সব ধরনের পুরনো জিনিস—পুরনো টেলিফোন, রেডিও, জামাকাপড়, এমনকি অদ্ভুত কিছু গ্যাজেট।

হাটের মালিক মোল্লা সাইফুল। বয়স প্রায় ৭০, মুখে সাদা দাড়ি, চোখে চশমা, আর পিঠে ঝোলা। তার কাছে ছিল এক রহস্য—যে পুরনো জিনিসই বিক্রি করত, তার সাথে একটা গল্প বাধা থাকত।

একদিন নতুন এক ছেলে হাটে এল। তার নাম জামাল। সে জানতে চাইল, “মোল্লা বাবু, এইটা কেন এত সস্তায় দিচ্ছেন?”

মোল্লা হাসলেন, “এই জিনিসগুলো নয় শুধু। এগুলো পুরনো সময়ের স্মৃতি, আর স্মৃতির দাম তো মূল্যহীন।”

জামাল জিজ্ঞেস করল, “আপনি কি কোনো গল্প শুনাবেন?”

মোল্লা বললেন, “একবার এক পুরনো ঘড়ি ছিল। কেউ জানতো না এটা কাজ করে কি না। আমি একদিন ঠিক করলাম পরীক্ষা করে দেখি। ঘড়িটা যেন আমার জীবনের সময়কে ধীরে ধীরে ফেরত আনল—বাবার কাঁধে বসলাম, মায়ের হাতে হাত দিয়েছি, সেই ছেলেবেলার সন্ধ্যা...”

জামাল অবাক, “আপনার কাছে প্রতিটি জিনিস কি স্মৃতির একটা যাদু?”

মোল্লা চোখ ঝলমল করে বললেন, “হ্যাঁ, প্রতিটি পুরনো জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবনের এক নতুন অধ্যায়। যারা তা বুঝতে পারে, তারাই প্রকৃত ধনী।”

সেদিন থেকে জামালও হাটে আসতে লাগল বারবার। আর শেখা গেল, পুরনো জিনিসের মাঝেও আছে নতুন জীবনের গল্প।

#sifat10