8 में ·अनुवाद करना

শিমুলবাগানের ছায়া

শিমুলবাগান ছিল গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল লাল-সাদা শিমুলের গাছ, আর তাদের নরম ছায়ায় ঘুমাত ছোটবড় সবাই। কিন্তু শিমুলবাগানে রাতে কেউ যেত না, কারণ সেখানে ছিল এক রহস্যময় ছায়া।

গ্রামের বড়রা বলত, “যে রাতে শিমুলবাগানে যায়, সে আর ফিরতে পারে না।”
ছেলেমেয়েরা ভয় পেত, কিন্তু কিশোর কায়সার ছিল অন্য রকম। সে কৌতূহল নিয়ে ছায়াটার রহস্য জানার জন্য রাতে বাগানে গেল।

আকাশে ছিল চাঁদ, শিমুলগাছের পাতা নরম বাতাসে নাচছিল। হঠাৎ কায়সার দেখল, ছায়াটা আসলে একটা বড় পোষা হরিণের ছায়া!
হরিণটি কায়সারের দিকে দেখতে দেখতে ধীরে ধীরে বাগান থেকে বেরিয়ে গেল।

কায়সার পেছনে পেছনে হরিণটাকে দেখতে দেখতে গ্রামের এক পুরনো পুকুরে পৌঁছালো। পুকুরের পানিতে হরিণটা ডুব দিয়ে উধাও হয়ে গেল।

সেদিন থেকে কায়সার সবাইকে বলল, “ছায়াটা কোনো ভয়ংকর কিছু না, সে শুধু প্রকৃতির মায়াবী রূপ!”

গ্রামের লোকজন ধীরে ধীরে সেই ভয় ভুলে গেল। আর শিমুলবাগান হলো গ্রামের খেলা-ধুলার জায়গা, যেখানে ছোট থেকে বড় সবাই আবার ঘুরে বেড়াতে শুরু করল।

#sifat10