8 di ·Menerjemahkan

গোধূলির সুর,

গ্রামের শেষ প্রান্তে ছিল এক ছোট বাঁশির দোকান। মালিক ছিল বৃদ্ধ মনিরাম, যিনি সমগ্র গ্রামের মধ্যে সুরের জাদুকর নামে পরিচিত। তিনি জানতেন কীভাবে বাঁশি বাজিয়ে মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে হয়।

প্রতিদিন বিকেলে গোধূলির আলোয় মনিরাম বাঁশি বাজাতে বসতেন। তার সুরে যেন আকাশও মুগ্ধ হয়ে শোনে। গ্রামের মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসত, দাঁড়িয়ে শুনত সেই সুর। কারো মুখে হাসি, কারো চোখে জল।

একদিন নতুন এক ছেলে রিয়াজ তার কাছে এল। সে বাঁশি বাজানো শিখতে চাইল। মনিরাম কনিষ্ঠকে বললেন, “সুর শুধু বাদ্যযন্ত্রের নয়, তা হৃদয়ের ভাষা।”

রিয়াজ ধৈর্য ধরে শিখল। বছর কয়েকের মধ্যে সে মনিরামের মতো সুরেলা বাজিয়ে উঠল।

গ্রামের মানুষ বলল, “রিয়াজ এসেছে গোধূলির সুরে নতুন রঙ।”

মনিরামের সুর আর রিয়াজের সঙ্গীত যেন গ্রামকে এক নতুন জীবন্ত করে তুলল।

#sifat10