8 di ·Menerjemahkan

কুমার সাদিকের প্রতিশোধ

সাদিক ছিল এক গরিব কুমার। মাটির হাঁড়ি, কলস বানিয়ে হাটে বিক্রি করত। কিন্তু বাজারে এক ধনী ব্যবসায়ী ছিল—মুনশি করিম—যে নিজের দামি পিতলের হাঁড়ি বেচার জন্য সাদিকের দোকানে কাদা ফেলে দিত, হাঁড়ি ভেঙে দিত, আর ক্রেতাদের ভয় দেখাত।

সাদিক কিছু বলত না। সে শুধু ভেতরে ভেতরে প্রতিজ্ঞা করেছিল—একদিন সে এর প্রতিশোধ নেবে, তবে বুদ্ধি দিয়ে, লাঠি দিয়ে নয়।

এক বছর পরে সাদিক এক অদ্ভুত হাঁড়ি বানাল। দেখতে সাধারণ, কিন্তু তার মুখে সে এমন এক রাসায়নিক প্রলেপ দিলো, যাতে হাঁড়ি তাপে গরম হলে সুন্দর সুবাস ছাড়ে।

সাদিক হাটে হাঁড়ি নিয়ে গেল। কয়েকজন লোক আশেপাশে ঘুরছিল, হঠাৎই এক হাঁড়ি গরম হয়ে সুন্দর গন্ধ ছড়াতে লাগল। চারদিকে রটে গেল, “সাদিকের হাঁড়ি খালি থাকলেও ভেতর থেকে সুগন্ধ বের হয়! এটা জাদুর হাঁড়ি!”

লোকেরা ভিড় জমালো, দামি দাম দিয়ে সব হাঁড়ি কিনে নিল।

মুনশি করিম হিংসায় পুড়ে গেল। সে একখানা হাঁড়ি কিনে গোপনে সেই রাসায়নিক খুঁজে বের করল, নিজেও হাঁড়ি বানিয়ে বাজারে আনল।

কিন্তু সে ভুল করেছিল। সাদিক আসল প্রলেপ গোপন রেখেছিল। মুনশির হাঁড়িগুলো গরম হলে সুগন্ধের বদলে দুর্গন্ধ ছড়াতে লাগল। ক্রেতারা রেগে তার দোকান ভেঙে দিল।

সাদিক চুপচাপ দেখে হাসল। গ্রামের লোকেরা বলল, “যার মাটি ঠান্ডা, তার মাথা গরম হয় না—সে জিতে যায় শান্তিতে।”

#sifat10