নামহীন পাথরের গল্প
এক পাহাড়ি গ্রামে ছিল এক প্রাচীন পাথর, কারো ঠিক জানা ছিল না কে বানিয়েছে, কেন বানিয়েছে। পাথরটা ছিল গোল, মসৃণ, আর মাঝখানে এক অদ্ভুত গহ্বর।
লোকেরা বলত, “এটা নিশ্চয় প্রাচীন কোনো সাধুর ধ্যানের চিহ্ন,” আবার কেউ বলত, “ভূতের আসন!”
গ্রামে এক কিশোর ছিল—রায়হান। সে এইসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করত না। একদিন সে সিদ্ধান্ত নিল, সে এই পাথরের রহস্য উন্মোচন করবে।
সে প্রতিদিন পাথরের পাশে বসে গবেষণা করত, নোট লিখত। গ্রামের লোকেরা তাকে পাগল বলত। কিন্তু রায়হান থামেনি।
একদিন, হঠাৎ ঝড়ের রাতে পাথরের গহ্বর থেকে শব্দ এল—এক রকমের শিস। রায়হান ভয় না পেয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়াল। তার হাতে ছিল একটি বাঁশি। সে সেই সুর মিলিয়ে বাঁশি বাজাল।
হঠাৎ করেই মাটি কেঁপে উঠল, আর পাথরের নিচের একটি ঢাকনা খুলে গেল! ভিতরে বেরিয়ে এল একটি ধাতব বাক্স, যার মধ্যে ছিল একটি পুরনো চিঠি আর কিছু সোনার মুদ্রা।
চিঠিতে লেখা ছিল, “এই পাথর সেই মানুষদের জন্য, যারা ভয়কে জ্ঞান দিয়ে জয় করতে পারে।”
গ্রামের লোকেরা স্তব্ধ। পাথরটিকে তারা এবার “জ্ঞানের পাথর” নামে ডাকতে লাগল, আর রায়হান হয়ে উঠল গ্রামের বুদ্ধির প্রতীক।
#sifat10
MD Nafis islan
حذف التعليق
هل أنت متاكد من حذف هذا التعليق ؟