চোরের গোপন উপকার
নাম ছিল আনোয়ার। পেশায় চোর, তবে ভেতরে ছিল এক ধরনের নরম মায়া। তার কাজ ছিল রাতের আঁধারে লোকের ঘরে ঢুকে মালপত্র চুরি করা।
এক রাতে সে শহরের এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢোকে। বাড়ি ছিল ছিমছাম, আর সবার ঘুম গভীর। সে ধীরে ধীরে উঠোন পেরিয়ে ভেতরে ঢোকে।
হঠাৎ তার কানে এলো শিশুর কান্না। একটা ঘরে উঁকি দিয়ে দেখে, এক নারী শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছে, আর তার চোখে অশ্রু।
আনোয়ার থেমে গেল। শুনতে পেল মহিলার অস্ফুট স্বর, “ভগবান, আজ যদি কেউ একটু সাহায্য করত! আমার স্বামী অসুস্থ, আর ঘরে খাবার নেই, ওষুধও শেষ।”
আনোয়ার এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকল। চুরি করা থলে থেকে কিছু টাকা বের করল, আস্তে ঘরের দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে দিল, আর চুপিচুপি বেরিয়ে গেল।
পরদিন শহরে খবর ছড়ায়—"রহস্যময় উপকারী ব্যক্তি রাতের আঁধারে দান করে গেছে!"
আনোয়ারের চুরি কমে এল। মাঝে মাঝে সে দরিদ্রদের বাড়িতে গিয়ে কিছু রেখে আসত, চুপিচাপ।
একদিন এক বৃদ্ধ তাকে দেখে ফেললেন, কিন্তু কিছু বলেননি। শুধু বললেন, “সব চোরই খারাপ না, কেউ কেউ আলোর পথ খুঁজে নেয় অন্ধকারেই।”
তখন থেকে আনোয়ার আর কখনো চুরি করেনি। সে রাতে রাতে গরিবদের পাশে দাঁড়াতে লাগল, গোপনে। শহরের লোকেরা তাকে ডাকতে লাগল—"ছায়ার সাধু!"
#sifat10
MD Nafis islan
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?