লাল রঙের ঘোড়ার রহস্য
দূর এক মরুভূমির প্রান্তে ছিল একটি ছোট গ্রাম, যেখানে কেউ কখনো লাল রঙের ঘোড়া দেখেনি। কিন্তু হঠাৎ এক সকালে গ্রামের প্রান্তে দেখা গেল একটি চকচকে লাল ঘোড়া, নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে।
গ্রামবাসীরা হতভম্ব। কেউ ঘোড়াটিকে ছুঁতে সাহস করছিল না। কারো মতে, এটা অভিশপ্ত কোনো প্রাণী, আবার কেউ বলল, “নিশ্চয় রাজ্যের গুপ্তচর!”
তবে একমাত্র সাহস দেখাল এক অনাথ ছেলে—মিজান। সে ধীরে ধীরে ঘোড়ার কাছে গিয়ে তার কপালে হাত বুলিয়ে দিল। ঘোড়াটি চুপচাপ মাথা ঝুঁকিয়ে রইল।
মিজান খেয়াল করল, ঘোড়ার গলায় একটি ছোট পিতলের টুকরো ঝোলানো, তাতে খোদাই করা কিছু অদ্ভুত চিহ্ন। সে পিতলের টুকরোটি খুলে গ্রামে নিয়ে এল।
এক বৃদ্ধ বলল, “এই চিহ্ন তো বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রাজপুত্রের প্রতীক!”
গল্প বের হলো—রাজ্যের ছোট রাজপুত্র একবার ঘোড়ায় চড়ে হারিয়ে গিয়েছিল মরুভূমিতে। তারপর সে আর ফিরে আসেনি। কেউ বলত, সে মরেছে; কেউ বলত, সে বেঁচে আছে গোপনে।
মিজান সেই ঘোড়াকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেল। রাজা দেখে চমকে উঠলেন। ঘোড়াটিকে চিনতে পারলেন—এটা রাজপুত্রের প্রিয় ঘোড়া।
অবশেষে ঘোড়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা চিঠি থেকে জানা গেল, রাজপুত্র এক মরুদস্যু দল থেকে পালিয়ে মরুভূমিতে আশ্রয় নেয়, কিন্তু আহত হয়ে সেখানেই মারা যায়। ঘোড়াটি একাই পথ খুঁজে ফিরে এসেছিল।
রাজা কেঁদে ফেললেন। আর মিজানকে দত্তক নিলেন। বললেন, “তুমি আজ শুধু ঘোড়া নয়, আমার ছেলের শেষ স্মৃতিও ফিরিয়ে এনেছো।”
#sifat10
MD Nafis islan
Удалить комментарий
Вы уверены, что хотите удалить этот комментарий?