নীরব বেহালার সুর
এক বৃদ্ধ বেহালাবাদক ছিলেন শহরের এক কোণে, নাম কাদের মিয়া। প্রতিদিন একটানা বেহালা বাজাতেন রাস্তার ধারে বসে। কিন্তু আশ্চর্যের কথা—বেহালাতে কোনো তার ছিল না!
লোকজন হাঁটতে হাঁটতে থেমে বলত, “বেহালা বাজে না, আবার বাজাচ্ছেন কেন?”
কাদের মিয়া মুচকি হেসে বলতেন, “শোনার জন্য কান নয়, দরকার মন।”
অনেকেই মজা করত, কেউ থুতু ছুঁড়ে চলে যেত, আবার কেউ দয়ায় কিছু কয়েন ছুঁড়ে দিত।
একদিন শহরে এক বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী এলেন—নাম রায়হান। তিনি হঠাৎ কাদের মিয়াকে দেখে থমকে দাঁড়ালেন। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনলেন ‘নীরব বেহালার’ সুর।
তারপর তিনি সামনে গিয়ে বললেন, “চাচা, আপনি তো বাজাচ্ছেন না, কিন্তু কেন জানি বুকের ভেতর কাঁপন লাগছে!”
কাদের মিয়া হেসে বললেন, “সঙ্গীত সব সময় শোনায় না, অনুভব করায়। তার না থাকলেও মন যদি বাজে, সেটাই আসল সুর।”
রায়হান বিস্ময়ে অভিভূত। তিনি কাদের মিয়াকে নিয়ে গেলেন এক মঞ্চে, সকলের সামনে বসালেন, আর বললেন, “আজকের শিল্পী তারহীন বেহালায় এমন সুর তুলেছেন, যা কোনো যন্ত্রে পাওয়া যায় না—এটা হৃদয়ের সংগীত।”
সেই দিন থেকে কাদের মিয়ার বেহালা আর কেউ অবহেলা করেনি। সবাই তার সামনে বসে থাকত—শোনার জন্য নয়, অনুভব করার জন্য।
#sifat10
MD Nafis islan
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟