বুদ্ধিমানের বুদ্ধি
একদা এক ছোট্ট রাজ্যে রাজা শাসন করতেন। রাজা ছিলেন খুব ন্যায়পরায়ণ, কিন্তু তার একটা বড় সমস্যা ছিল — রাজ্যের খজানার দিকে নজর রাখার জন্য কোনো যোগ্য কর্মকর্তা ছিল না। অনেকেই রাজাকে ঠকানোর চেষ্টা করত, আর দেশের ধন-সম্পদ লোপ পাচ্ছিল।
একদিন রাজা ঘোষণা দিলেন, “যে কেউ আমার খজানা রক্ষায় সবচেয়ে ভালো উপায় বের করতে পারবে, তাকে আমি পুরস্কৃত করব।” রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন এসে এই কাজের জন্য চেষ্টা করল, কিন্তু কেউ একটা সন্তোষজনক সমাধান দিতে পারল না।
এক গ্রাম থেকে এক বুদ্ধিমান যুবক সোহেল এই খবর শুনে রাজ্যের দরবারে এল। সে রাজাকে বলল, “মহামান্য রাজা, আমি আপনার খজানা রক্ষার জন্য এমন এক পদ্ধতি বলব, যা খুবই কার্যকর এবং সহজ।” রাজা সম্মতি দিলেন, সোহেল তার বুদ্ধি বলে উঠল।
“রাজা, খজানার ওপর সর্বোচ্চ নজরদারি এবং সতর্কতার ব্যবস্থা করতে হলে দরকার সতর্ক এবং নিয়মিত চেক। আমি প্রস্তাব দিচ্ছি, খজানার দরজায় এমন একটি তালা লাগানো হোক, যা প্রতি বার খোলার সময় একটি সিসের বেলন বাজাবে। এর ফলে, খজানা খোলা হচ্ছে কি না, তা সহজে জানা যাবে। আর একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী নিয়োগ করা উচিত, যে শুধু খজানা খোলে এবং বন্ধ করে।”
রাজা প্রথমে ভাবল এটা খুবই সাধারণ একটা উপায়, কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে রাজি হলেন। তালা ও সিসের বেলন ব্যবস্থা চালু হলো। এর সঙ্গে নিয়োগ করা হলো বিশ্বস্ত কর্মচারী। কয়েক মাস পর রাজা দেখতে পেলেন, খজানার ধন-সম্পদ অক্ষুণ্ণ রইল, আর কেউ হাত দেয়নি।
রাজা বুদ্ধিমান সোহেলকে ডেকে বললেন, “তোমার এই সরল কিন্তু কার্যকরী পদ্ধতি আমাদের রাজ্যের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াল। তুমি সত্যিই বুদ্ধিমান।”
সোহেল হাসি মুখে উত্তর দিল, “মহামান্য রাজা, সবচেয়ে বড় বুদ্ধি হলো সমস্যার সহজ সমাধান খোঁজা। জটিলতা নয়।”
এরপর রাজা তাকে রাজ্যের উপদেষ্টা করে নিয়োগ দিলেন, আর সোহেলের এই গল্প রাজ্যের লোকদের মাঝে বুদ্ধি আর সতর্কতার মন্ত্র হয়ে উঠল।
#sifat10
MD Nafis islan
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?