শুরু করল, তখন হিন্দু মেয়েরা তার মধ্যে বাপদাদার ধর্মকেই পুনরুজ্জীবিত করল। রাজিয়া তার পৈতৃক ধর্মমতকেই পুনরায় আবিষ্কার করল এবং হিন্দু ধর্মের এত আকৃষ্ট হলো। ইসলাম ধর্ম প্রচার দূরের কথা, ইসলামের কোন কথাই সে লোন দিন হিন্দু মহিলাদের কাছে উচ্চারণ করতে পারেনি।

পরদিন নানা কাজের চাপে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত যুলকারনাইন রাতে ঘরে ফিরে ক্লান্তির কারণে শুয়ে পড়লো। অল্পক্ষণের মধ্যেই সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। রাজিয়ার প্রতি ঘুনাক্ষরেও কোন দিন যুলকারনাইনের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়নি। ফলে তার আস্থা পরীক্ষার কোন প্রয়োজনও সে কোন দিন বোধ করেনি।

কিন্তু দিনের বেলায় সন্যাসীর ভবিষ্যদ্বাণী রাজিয়াকে অস্থির করে তুলে ছিল। যুলকারনাইন ঘুমিয়ে পড়তেই রাজিয়ার মধ্যে জেগে উঠলো রক্সার বৈশিষ্ট্য। সে পাপ স্খলনের জন্যে মরিয়া হয়ে উঠলো।

সন্তর্পণে বিছানা ছেড়ে উঠে সন্ন্যাসীর দেয়া তুলা পানিতে ভিজিয়ে পান করল

রাজিয়া।

এতক্ষণ তার মধ্যে যে ভয়, আতংক ও জড়তা ছিল তুলা ভেজানো পানি পান করার পর তার মন থেকে সব ভয় শংকা ও জড়তা দূর হয়ে গেল। এরপর