ঢুকে পড়বে। যেহেতু রাজিয়া কমান্ডার যুলকারনাইনের স্ত্রী এজন্য তাকে দেখে মুগ্ধ হলেও মহারাজা তার প্রতি হাত বাড়াবে না। কিন্তু রাজিয়াকেই উদ্যোগী হয়ে নিজের রূপ সৌন্দর্য দিয়ে মহারাজাকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতে হবে, যাতে মহারাজা বুঝে যে, রাজিয়া নিজেই স্বেচ্ছায় মহারাজাকে সঙ্গ দিয়ে ধন্য হতে চাচ্ছে। তাহলে একান্তে মিলনের জন্য রাজাই এগিয়ে আসবে।
রাজিয়া তার শাড়ীর আঁচলে একটি ধারালো খঞ্জর লুকিয়ে রাখবে। সুযোগ মতো সেই খঞ্জর দিয়ে রাজাকে হত্যা করে ঘরে এসে স্বামীকে হত্যা করবে। উভয়ের হত্যাকাণ্ড সমাপ্ত হলে সোজা মন্দিরে চলে আসবে। মন্দিরে এলে পুরোহিত তাকে দূরে কোথাও নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
ঋষি মহারাজ! আমি কি এতোটা সাহসী হতে পারবো? কীভাবে খুন করবো
আমি? আমার তো হাত কাঁপবে। বললো রাজিয়া।
সন্ন্যাসী তার পাশে রাখা একটি বাক্স হাতড়িয়ে একটি কৌটা বের করল এবং তা থেকে কিছুটা তুলার মতো বের করে একটি কাপড়ের টুকরোতে বাঁধতে বাঁধতে বললো- তুমি যখন রাজাকে হত্যার উদ্দেশ্য ঘর থেকে বের হবে তখন এক গ্লাস পানিতে এই তুলাটি ভিজিয়ে পান করে নেবে। দেখবে তোমার মধ্যে