মেয়েটার নাম সুভা সে ছিল একজন বাক প্রতিবন্ধী সে জন্ম হবার পর থেকে কথা বলতে পারেনা । সুভার পুরো নাম সুভাষিনী , কিন্তু তাকে সবাই সুভা বলেই ডাকত।সুভা বোবা হবার কারনে তার মা খুব বিরক্ত ছিল, কিন্তু সুভার বাবা তার ওই দুই মেয়ে থেকেও সুভাকে ভালোবাসেন । আর বোবা হবার কারনে গ্রামের লোক তাকে নিয়ে কথা বলতো , কিন্তু সুভা সেটা বুঝতে পারত। এজন্য সুভা চেষ্টা করত লোকালয় থেকে তাকে কিভাবে আড়াল করা যায় কিন্তু সেটা কখনোই সম্ভব কিন্তু বেদনা কি কেহ কখনো ভুলে? পিতা-মাতার মনে সে সর্বদাই জাগরূক।আর সুভা বোবা হলেও কিন্তু তাহার সুদীর্ঘ পল্লব বিশিষ্ট বড়ো বড়ো দুটি কালো চোখ ছিল-এবং তাহার ওষ্ঠাধর ভাবের আভাসমাত্রে কচি কিশলয়ের মতো কাঁপিয়ে উঠিত। কিন্তু কালো চোখকে কিছু তজমা করিতে হয় না। মুখের ভাব বৈ আজন্মকাল যাহার অন্য ভাষা নাই তাহার চোখের ভাষা অসীম উদার এবং অতলস্পশ গভীর - অনেকটা স্বচ্ছ আকাশের মতো উদয়াস্ত এবং ছায়া লোকের নিস্তব্ধ বঙ্গভূমি।এই বাক্য হীন মানুষের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ত্ব আছে। এজন্য সাধারণ বালক বালিকারা তাহাকে একপ্রকার ভয় করিত , তাহার সহিত খেলা করিত না । সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন। গ্রামের নাম চন্ডিপুর । নদীটি বাংলাদেশর একটি ছোট নদী । সুভার যে গুটিকতক অন্তরঙ্গ বন্ধুর দল ছিল না তাহা নহে । গোয়ালের দুটি গাভী, তাহাদের নাম সবশী ও পাঙগুলি । গল্প টা লিখছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
Shakil Khan
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?