#অণু-গল্প: ১ (চন্দ্রের অভিশাপ)
---
পূর্ণিমার রাত, ঘুমন্ত গ্রামে নিঃশব্দে ছায়া হয়ে ফিরে এলো নীলয়। বছরখানেক আগে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো সে। কেউ জানতো না, সেই রাতে বনভূমির এক নির্জন ঝরনার ধারে অদ্ভুত এক বিড়ালরূপী বৃদ্ধা তাকে কামড়ে দিয়েছিলো। তখনই তার শরীরে ঢুকে যায় এক প্রাচীন অভিশাপ।
গ্রামে ফিরে নীলয় যেন আগের মতো নয়—চোখ দুটো ঝলমল করে, চুপচাপ হাঁটে, রাতভর জেগে থাকে। পূর্ণিমা এলেই তার দেহে অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা দেয়—লোমশ দেহ, তীক্ষ্ণ নখ, আর ভয়াল দাঁত। মানুষের ভাষা ভুলে গিয়ে মিউ মিউ করে ডাকে চাঁদের দিকে তাকিয়ে।
তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে তৃতীয় পূর্ণিমায়। গ্রামের এক মেয়ে নিখোঁজ, শেষবার দেখা গিয়েছিলো নীলয়ের বাড়ির পাশে। ভোরে পাওয়া যায় তার রক্তাক্ত ওড়না আর পাশেই বিছানো কয়েকটি কালো পশম।
গ্রামের লোকেরা এখন চাঁদের দিকে নয়, ভয় পায় মানুষের ভেতরের পশুকে। কারণ, নীলয় শুধু অভিশপ্ত নয়, সে চন্দ্র-নির্ভর এক রক্তপিপাসু প্রাণী—এক আধা-মানব, আধা-বিড়াল, যে ভালোবাসা চায়, কিন্তু আদায় করে রক্ত দিয়ে।