#অণু-গল্প: 2 (চন্দ্রের অভিশাপ)
---
নিখোঁজ মেয়েটির নাম ছিলো মধুরিমা—নীলয়ের ছোটবেলার বন্ধু, একসময় যাকে নীলয় চুপিচুপি ভালোবাসতো। তার রক্তাক্ত ওড়না দেখে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিন্তু কেউ প্রমাণ ছাড়াই নীলয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না।
কিন্তু চরণ কাকা, গ্রামের এক বৃদ্ধ, জানতেন সত্যিটা। তার জীবদ্দশায় এমন অভিশপ্ত রূপান্তরের ঘটনা তিনি আরও একবার দেখেছিলেন—১৯৬৭ সালে, আরেক পূর্ণিমার রাতে। তিনিই একমাত্র বুঝতে পারেন, নীলয়ের দেহে কি লুকিয়ে আছে।
চরণ কাকা একদিন সাহস করে নীলয়ের বাড়িতে যান। তার হাতে থাকে তুলসী মালা আর গঙ্গাজল।
নীলয় তখন স্বাভাবিক, কিন্তু চোখের নিচে গভীর কালো ছায়া। কাকা প্রশ্ন করেন, “সেই রাতটা… পাহাড়ের ঝরনার ধারে কি হয়েছিলো?”
নীলয় চুপ করে থাকে, ঠোঁট কাঁপে, চোখ লাল হয়ে ওঠে।
“আমি… চেয়েছিলাম না… কিন্তু ওর গলায় চাঁদের আলো পড়তেই… আমি নিজেকে থামাতে পারিনি…”
চরণ কাকা বুঝে যান—এটা প্রেম নয়, এটা এক ভয়ংকর ভালবাসার ক্ষুধা।
তিনি বলেন, “তুমি চাইলে মুক্তি পেতে পারো… তবে তার জন্য চাঁদের রাতেই আবার যেতে হবে সেই ঝরনার ধারে… যেখান থেকে সব শুরু হয়েছিলো।”
নীলয় জানে, আরেকটি পূর্ণিমা আসছে… হয় সে রক্ত খাবে, নয় নিজেই রক্তে বিলীন হবে।